‘ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের সঙ্গে বিপণন, অর্থ এবং বিজ্ঞাপনের স্বার্থ জড়িত’

সর্বোচ্চ আটবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন মেসিএএফপি

গত বছর অক্টোবরে আর্লিং হলান্ড এবং কিলিয়ান এমবাপ্পেকে টপকে ব্যালন ডি’অর জেতেন লিওনেল মেসি। চতুর্থ হয়েছিলেন কেভিন ডি ব্রুইনা এবং পঞ্চম হন রদ্রি। সেবার সিটির ‘ট্রেবল’ জেতার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন রদ্রি। মৌসুমজুড়ে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল চোখধাঁধানো। দলের প্রয়োজনে নিয়মিত পারফর্ম করেছেন। এমনকি ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে একমাত্র গোলটিও এসেছিল তাঁর কাছ থেকে।

এরপরও ব্যালন ডি’অরের আলোচনায় সেভাবে উচ্চারিত হয়নি রদ্রির নাম এবং জায়গা মেলেনি সেরা তিনেও। এবার এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের এই পুরস্কার নিয়ে কথা বলেছেন রদ্রি। এই পুরস্কারকে সমালোচনার তিরে বিদ্ধ করে রদ্রি বলেছেন, এর সঙ্গে বিপণন, অর্থ এবং বিজ্ঞাপনের স্বার্থ জড়িত। যে কারণে পুরস্কারগুলো যোগ্য হাতে ওঠে না।

আরও পড়ুন

ব্যালন ডি’অরের সেরা তিনে না থাকা নিয়ে জানতে চাইলে ডেইলি মিররকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রদ্রি বলেছেন, ‘আমি বিস্মিত নই। এটা স্বাভাবিক। ব্যক্তিগত এই পুরস্কারের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো কীভাবে কাজ করে, তা আমি বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারি। এগুলো বিপণন, অর্থ এবং বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে দেওয়া হয়।’

অতীতেও এমন ঘটনা আরও ঘটেছে উল্লেখ করে স্প্যানিশ তারকা আরও বলেছেন, ‘এর আগেও এমন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ছিলেন, যাঁরা যোগ্য হওয়ার পরও পুরস্কার পাননি। আমি কী বলছি বুঝতে পারছেন (হাসি)? ফুটবলে আমার কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হলো সম্মিলিতভাবে আমি কী অর্জন করছি, সেটা।’

গত মৌসুমে সিটির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে গোল করেন রদ্রি
রয়টার্স

সেবার অবশ্য মেসির হাতে পুরস্কার উঠেছিল আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর স্বীকৃতি হিসেবে। যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার খুব একটা সুযোগ না থাকলেও, সম্প্রতি মেসির ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ জেতার ঘটনা ঠিকই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকের ধারণা, এবারের পুরস্কার জেতার যোগ্য দাবিদার ছিলেন আর্লিং হলান্ড।

আরও পড়ুন

এমনকি তিনি মেসির সমান ভোটও পেয়েছিলেন। কিন্তু অধিনায়কদের ভোটে পিছিয়ে থাকায় শেষ পর্যন্ত জেতা হয়নি পুরস্কার। এ নিয়ে বিতর্কও হয়েছে বেশ। লোথার ম্যাথাউসের মতো কিংবদন্তিও বলেছিলেন, এবারের পুরস্কারটি মেসি জিততে পারেন না।