মেসি–নেইমার–সুয়ারেজরা যা পারেননি, সেটাই করে দেখালেন ইয়ামাল–লেভা–রাফিনিয়ারা
বার্সেলোনা এবং গোলবন্যা যেন এখন সমার্থক। মৌসুমের শুরু থেকে ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করে চলেছে দুর্দাান্ত ছন্দে থাকা দলটি। সর্বশেষ এস্পানিওলের বিপক্ষে ম্যাচেও ৩–১ গোলে জিতেছে কালাতানরা। এই জয়ের পর চলতি মৌসুমে বার্সার গোলসংখ্যা ‘হাফ সেঞ্চুরি’ স্পর্শ করেছে। তা–ও মাত্র ১৫ ম্যাচে!
চোখ কপালে ওঠার মতো পরিসংখ্যানই বটে। এমনকি লামিনে ইয়ামাল-রবার্ট লেভানডফস্কি–রাফিনিয়ারা মিলে যা করেছেন, তা বার্সায় এর আগে লিওনেল মেসি, নেইমার ও লুইস সুয়ারেজদের মতো মহাতারকারা মিলেও করতে পারেননি।
চলতি মৌসুমে শুধু লা লিগায় বার্সা গোল করেছে ১২ ম্যাচে ৪০টি। অর্থাৎ বার্সা লিগে ম্যাচপ্রতি ৩টির বেশি গোল করেছে, যা ১৯৫০–৫১ মৌসুমের পর বার্সার সবচেয়ে ভালো ফল। সেবার বার্সা প্রথম ১২ ম্যাচেই এর চেয়ে বেশি গোল করেছিল।
অন্যদিকে দ্বিতীয় রিয়াল মাদ্রিদের গোল বার্সার প্রায় অর্ধেক। ১১ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের গোলসংখ্যা ২১টি। গোলের এই পার্থক্যই বলে দিচ্ছে বার্সা এই মুহূর্তে কতটা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগেও যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল বার্সার। ৩ ম্যাচে বার্সার গোল ১০টি। ১২ গোল নিয়ে এ তালিকায় সবার ওপরে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। এরপরই বার্সার অবস্থান। কাতালান ক্লাবটির মতো ১০ গোল করেছে বায়ার্নও। আর বার্সার খেলোয়াড়দের মধ্যে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৪ গোল করেছেন তিন ফরোয়ার্ড লেভানডফস্কি, রাফিনিয়া ও ইয়ামাল। লেভা একাই অবশ্য গোল করেছেন ১৭ গোল। রাফিনিয়া করেছেন ১১ গোল এবং ইয়ামাল করেছেন ৬ গোল।
এর মধ্যে বেশ কিছু ম্যাচে অবশ্য বেশ কিছু হাই–স্কোরিং ম্যাচও উপহার দিয়েছে বার্সা। যেখানে লা লিগায় রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষেই তারা জিতেছিল ৭–০ গোলে। এ ছাড়া অন্য ম্যাচগুলোর মধ্যে জিরোনার বিপক্ষে ৪–১ গোলে, ভিয়ারিয়াল ও সেভিয়ার বিপক্ষে ৫–১ গোলে এবং এস্পানিওলের বিপক্ষে জিতেছিল ৩–১ গোলে। চ্যাম্পিয়নস লিগে ইয়ং বয়েজের বিপক্ষে ৫–০ গোলে জেতার পাশাপাশি বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে বার্সা জিতেছিল ৪–১ গোলে। মোনাকোর বিপক্ষে অন্য ম্যাচে অবশ্য ২–১ গোলে হেরেছিল বার্সা।
সব মিলিয়ে প্রথম ১৫ ম্যাচে ৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করার আগে বার্সা সর্বশেষ সেরা ফল দেখিয়েছিল ২০১৬–১৭ মৌসুমে। সেবার ৫০ গোল করার জন্য বার্সাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১৭ ম্যাচ পর্যন্ত।