চুমু–কাণ্ড নিয়ে এবার রুবিয়ালেস বললেন, ‘আমি পুরুষ বলেই...’
নারী বিশ্বকাপ ফাইনাল মঞ্চের চুমু–কাণ্ড নিয়ে লুইস রুবিয়ালেস তাঁর অবস্থান থেকে কোনোভাবেই নড়ছেন না। খেলোয়াড়দের অনাস্থা, বিশ্বজুড়ে নিন্দা, বরখাস্ত, নিষেধাজ্ঞা—এত কিছুর পরও তিনি দাবি করে যাচ্ছেন, চুমুর ঘটনায় তাঁর কোনো দোষ নেই। স্পেন নারী বিশ্বকাপ জয়ের পর পুরস্কার মঞ্চে যা হয়েছে, সেটা হেনি হেরমোসোর সম্মতিতেই।
বুধবার ডমিনিকান রিপাবলিক থেকে ফেরার পর মাদ্রিদের বিমানবন্দরেই রুবিয়ালেসকে আটক করেছিল স্পেনের পুলিশ। এটা অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতির মামলার অংশ হিসেবে। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক প্রধানকে পুলিশ ছেড়েও দিয়েছে।
ছাড়া পাওয়ার পর স্পেনের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুবিয়ালেস কথা বলেছেন স্পেন ২০২৩ নারী বিশ্বকাপ জয়ের পর পুরস্কার মঞ্চে দলটির খেলোয়াড় হেরমোসোর ঠোঁটে চুমু দেওয়া প্রসঙ্গে। হেরমোসোর করা যৌন হয়রানির অভিযোগে জেলও খাটতে হতে পারে রুবিয়ালেসকে।
এ প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলার সময় একটু যেন অভিমানই ঝরে পড়ল রুবিয়ালেসের কণ্ঠে। তিনি প্রশ্নকর্তাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমি (চুমু দেওয়ার আগে) তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। সে বলেছিল—ঠিক আছে। আপনি এ বিষয়ে হেরমোসোকে প্রশ্ন করতে পারছেন না, কিন্তু আমাকে প্রশ্ন করতে পারছেন। এর কারণ, আমি ছেলে বলে?’
৪৬ বছর বয়সী রুবিয়ালেস চুমুর কাণ্ডটি ঘটিয়েছিলেন ২০২৩ নারী বিশ্বকাপের ফাইনালের পর। পুরস্কার মঞ্চে তিনি হেরমোসোকে চুমু খাওয়ার পর এ নিয়ে ফুটবল–বিশ্বে শুরু হয় তোলপাড়। হেরমোসো এটিকে যৌন হয়রানি বলে অভিযোগ করেন
ঘটনা পরিক্রমায় খেলোয়াড়েরা তাঁর প্রতি অনাস্থা জানান, ফিফাও তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু রুবিয়ালেস বারবার বলে যাচ্ছিলেন, হেরমোসোর সম্মতিক্রমেই চুমু দিয়েছেন। হেরমোসোর করা যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে রুবিয়ালেস বলেছেন, ‘আমি ভাবতেই পারছি না, এটাকে কেউ যৌন হয়নি বলতে পারে।’