সালাহউদ্দিন কি আবারও সাফ সভাপতি হবেন
৭০ বছরের ঊর্ধ্ব কেউ সাফের নির্বাহী কমিটির কোনো পদে প্রার্থী হতে পারবেন না—এত দিন এ কথাই বলা ছিল দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) গঠনতন্ত্রে। তবে নিয়মটা আর থাকছে না।
আজ কলম্বোয় সাফের বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বয়সের সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। আর তাতে সাফের বর্তমান সভাপতি ও বাফুফের সাবেক সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনেরই সাফের প্রধান থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
২০২২ সালে আনা সাফের গঠনতন্ত্রের সর্বশেষ সংশোধনীর ৩১ অনুচ্ছেদের ৪ নম্বর ধারায় বলা আছে, নির্বাহী কমিটির যেকোনো পদে কেউ তিন মেয়াদ বা ১২ বছরের বেশি সময় থাকতে পারবেন না। নিয়মটি কার্যকর হয় ২০১৮ সালে।
২০২৬–এর নির্বাচনে তাই আবারও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল সালাহউদ্দিনের। বয়স ৭২ হয়ে যাওয়ায় বাধা ছিল বয়স, এখন সেটাও আর থাকছে না। ২০০৮ সালে বাফুফের সভাপতি হওয়ার পরের বছর থেকে টানা চারবার সালাহউদ্দিন সাফের সভাপতি হয়েছেন।
বয়সের বাধা তুলে দেওয়ায় এখন বাফুফের সাবেক সভাপতি আবারও ফেডারেশনের মনোনয়ন নিয়ে সাফের সভাপতিসহ যেকোনো পদে নির্বাচন করতে পারবেন। বাফুফে তাঁকে মনোনয়ন দেবে কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা না গেলেও বাফুফের বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে সালাহউদ্দিনের সুসম্পর্ক আছে।
এ কারণে বাফুফের পক্ষ থেকে তাঁকে আবারও সাফ সভাপতি পদে মনোনয়ন দেওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন অনেকেই। গত বছর বাফুফের সভাপতি পদ থেকে বিদায় নেন সালাহউদ্দিন।
সাফ সভাপতি হওয়া নিয়ে সালাহউদ্দিন নিজে কী ভাবছেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে সাফের কালকের সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত বাফুফে সদস্য জাকির হোসেন চৌধুরী কলম্বো থেকে ফোনে বলেছেন, ‘আমি ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপালের সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই ওনাকে (কাজী সালাহউদ্দিন) চাইছেন। সাফে ওনার যে গ্রহণযোগ্যতা, তাতে আবারও তিনি নির্বাচিত হতে পারেন। এএফসির সভাপতিও ওনার অনেক প্রশংসা করেছেন।’
সাফের বিশেষ সভায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন এএফসির সভাপতি শেখ সালমান।
জুনের শেষ সপ্তাহে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথা। তবে টুর্নামেন্টের ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি। শ্রীলঙ্কা আগ্রহ প্রকাশ করলেও সাফের বিপণন অংশীদার স্পোর্টফাইভ এখনো সম্ভাব্যতা যাচাই করছে।