প্রিমিয়ার লিগের পর দর্শকেরা সবচেয়ে বেশি দেখেছে মেসিদের খেলা
লিওনেল মেসির আগমনের পর থেকে ব্যাপকভাবে বদলে যেতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল। অল্প সময়ের ব্যবধানেই দেশটির খেলার জগতে মেসির আগমনের প্রভাব দেখা যেতে শুরু করে।
শুধু মাঠের খেলাতেই নয়, খেলার বাইরেও ‘মেসি-ইফেক্ট’ বদলে দেয় অনেক হিসাব-নিকাশ। যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে থাকা ফুটবল অল্প সময়ের মধ্যেই উঠে আসে ওপরের দিকে। এরপর সময় যতই গড়িয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়াজগতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করেছে ফুটবল।
অথচ মেসি আসার আগেও যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল পরিচিত ছিল ‘সকার’ নামে। আর এখন আর্জেন্টাইন মহাতারকার হাত ধরে সেই সকারই হয়ে উঠেছে ফুটবল। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে নয়, বাইরেও চ্যালেঞ্জ জানাতে শুরু করেছে ফুটবল। গত মৌসুমে বিশ্বব্যাপী লিগগুলোতে উপস্থিতির সংখ্যার দিকে তাকালেই মিলবে সেই প্রমাণ।
ফুটবলের পরিসংখ্যানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘অপ্টা’র এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত মৌসুমে দর্শক উপস্থিতির দিক থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পরই মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) অবস্থান। প্রিমিয়ার লিগে গত মৌসুমে দর্শক উপস্থিতি ছিল ১ কোটি ৪৬ লাখ। ইংলিশ ক্লাবগুলোর দর্শক ধারণক্ষমতা কম না হলে এই সংখ্যা অবশ্য আরও বাড়তে পারত। এরপরও অবশ্য শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে তারা।
প্রিমিয়ার লিগের পরেই এমএলএসের অবস্থান। গত মৌসুমে এমএলএসের খেলা দেখেছে ১ কোটি ২১ লাখ দর্শক। মূলত মেসি ও তাঁর সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ-সের্হিও বুসকেতসদের কারণেই দর্শক উপস্থিতিতে এই উল্লম্ফন দেখা গেছে।
এ তালিকার তিনে আছে জার্মান লিগ বুন্দেসলিগা। যাদের খেলা দেখেছে ১ কোটি ২০ লাখ দর্শক। পরের দুটি স্থান ইতালিয়ান লিগ সিরি ‘আ’ ও স্প্যানিশ লিগ লা লিগার। এই দুই লিগে দর্শক উপস্থিতি ছিল যথাক্রমে ১ কোটি ১৬ লাখ ও ১ কোটি ৭ লাখ।
গত মৌসুমে বেশি উপস্থিতি
২০২৪ সালে এমএলএসে উপস্থিতির মাইলফলক
৭০ হাজার: দুই ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে।
৬০ হাজার: আট ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি ৬০ হাজার বা তার বেশি হয়েছে।
৫০ হাজার: উপস্থিতি ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে ১০ ম্যাচে।
৪০ হাজার: এমএলএসে ৩১ ম্যাচে উপস্থিতি ৪০ হাজার ছুঁয়েছে।