কনমেবলের ‘আদর্শ’ একাদশে আর্জেন্টিনার ৪ জন, ব্রাজিলের ২
শুরু হয়ে গেছে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের দলগুলো বাছাইপর্বের দুটি করে ম্যাচও খেলে ফেলেছে। লাতিন ফুটবলের দুই পরাশক্তি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা তাদের দুটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ব্রাজিল আছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।
কিন্তু একটা দিক থেকে আর্জেন্টিনার চেয়ে পিছিয়ে আছে ব্রাজিল। বাছাইপর্বের এই দুই রাউন্ডের ম্যাচ বিশ্লেষণ করে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন বা কনমেবল একটি একাদশ গড়েছে। সেই একাদশের নাম দিয়েছে ‘আদর্শ একাদশ’।
কনমেবলের সেই আদর্শ একাদশে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় আছেন চারজন, ব্রাজিলের মাত্র দুজন। ইকুয়েডরের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১–০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। গোলটি করেছেন দলটির অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার পরের ম্যাচে খেলেননি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ৩–০ ব্যবধানে জেতা সেই ম্যাচে গোল করেছেন এনজো ফার্নান্দেজ, নিকোলাস তালিয়াফিকো ও নিকোলাস গঞ্জালেস। কনমেবলের আদর্শ একাদশে অবশ্য এই তিন গোলদাতার মধ্য থেকে আছেন শুধু তালিয়াফিকো। আছেন মেসিও। আর্জেন্টিনা দল থেকে আদর্শ একাদশে জায়গা পাওয়া অন্য দুজন আনহেল দি মারিয়া ও ক্রিস্তিয়ান রোমেরো।
অন্যদিকে নেইমার ও রদ্রিগোর জোড়া গোলে বলিভিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি ৫–১ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। সেই ম্যাচে ব্রাজিলের অন্য গোলটি করেছেন রাফিনিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে পেরুর মাঠ থেকে ব্রাজিল ১–০ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফিরেছে মারকিনিওসের গোলে।
ব্রাজিল দল থেকে আদর্শ একাদশে অবশ্য মার্কিনিওস বা রাফিনিয়ার কেউই সুযোগ পাননি। ব্রাজিল দল থেকে আদর্শ একাদশে নেইমারের সঙ্গে আছেন রদ্রিগো। আদর্শ একাদশে কে কী কারণে আছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছে কনমেবল।
কামিলো ভারহাস (কলম্বিয়া)
দুই ম্যাচে কোনো গোল খাননি কলম্বিয়ার গোলকিপার। এই দুই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি সেভও করেছেন ভারহাস (৭টি)।
আলেক্সান্দার গঞ্জালেস (ভেনেজুয়েলা)
দুই ম্যাচে ১৭ বার বল পুনরুদ্ধার করেছেন ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডার। সব মিলিয়ে ১৫টি ট্যাকল করেছেন।
ফেলিক্স তোরেস (ইকুয়েডর)
উরুগুয়ের বিপক্ষে ইকুয়েডরের জয়ে জোড়া গোল করেছেন ফেলিক্স তোরেস। ২০২০ সালে ভেনেজুয়েলার লুইস মাগোর পর প্রথম ডিফেন্ডার হিসেবে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জোড়া গোল করেছেন তিনি।
ক্রিস্তিয়ান রোমেরো (আর্জেন্টিনা)
দুই ম্যাচে ৮টি ট্যাকল করেছেন আর্জেন্টিনার এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার। সব মিলিয়ে জিতেছেন ১০টি দ্বৈরথ।
নিকোলাস তালিয়াফিকো (আর্জেন্টিনা)
বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি করেছেন তালিয়াফিকো। আর্জেন্টিনার হয়ে এই প্রথম গোল পেয়েছেন তিনি।
নেইমার (ব্রাজিল)
ব্রাজিলের দুটি জয়ের একটিতে জোড়া গোল করেছেন নেইমার। দুই ম্যাচে দুটি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি।
আনহেল দি মারিয়া (আর্জেন্টিনা)
বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ৩–০ গোলের জয়ে জোড়া অ্যাসিস্ট করেছেন দি মারিয়া।
মাতিয়াস ভিয়াসান্তি (প্যারাগুয়ে)
সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারদের মধ্যে এই দুই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ১৩টি ট্যাকল করেছেন ভিয়াসান্তি। এ ছাড়া ১৩ বার বল পুনরুদ্ধারও করেছেন।
রদ্রিগো (ব্রাজিল)
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের প্রথম দুই ম্যাচে জোড়া গোল করা চারজন খেলোয়াড়ের একজন রদ্রিগো। প্রতিপক্ষের সীমানায় ৫৩টি পাসও দিয়েছেন তিনি।
লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)
একটিমাত্র ম্যাচ খেললেও ইকুয়েডরের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন মেসি।
নিকোলাস দে লা ক্রুজ (উরুগুয়ে)
চিলির বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের ৩–১ ব্যবধানের জয়ে জোড়া গোল করেছেন মিডফিল্ডার নিকোলাস দে লা ক্রুজ।