হলান্ডের দাম হবে ‘১০০ কোটি পাউন্ড’
আকাশই সীমানা!
ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হলান্ডকে দেখে এমন মনে হতে পারে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এবার নিজের অভিষেক মৌসুমেই ফুটবলপণ্ডিতদের ঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছেন নরওয়েজীয় তারকা। শুধু গোল, গোল আর গোল করছেন। লিগে ১০ ম্যাচে এরই মধ্যে ১৫ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা। আছে একাধিক হ্যাটট্রিকও।
এমন শুরুর পর অনেকে মনে করছেন, প্রিমিয়ার লিগে গোলের রেকর্ডটা হলান্ড যে কোন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন, তা হয়তো তিনি নিজেও জানেন না! অর্থাৎ আকাশই সীমানা, ঠিক যেমন দলবদলের বাজারে তাঁর দামও।
ফুটবলে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দলবদলে নিজের দামটা ১ বিলিয়ন পাউন্ডে (১০০ কোটি পাউন্ড) নিয়ে যেতে পারেন হলান্ড—এমনটাই মনে করেন তাঁর এজেন্ট রাফায়েলা পিমেন্তা। হলান্ডের এজেন্টে হিসেবে কাজ করার আগে প্রয়াত এজেন্ট মিনো রাইওলার সঙ্গে কাজ করতেন পিমেন্তা।
রাইওলা ছিলেন হলান্ডের এজেন্ট। গত এপ্রিলে রাইওলার মৃত্যুর পর হলান্ডের এজেন্ট হন আইনজীবী হিসেবেও কাজ করা পিমেন্তা। স্কাই স্পোর্টসকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পিমেন্তা, যেখানে হলান্ডকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘প্রথম ফুটবলার হিসেবে দলবদলে নিজের দাম সে ১ বিলিয়ন পাউন্ডের কাছাকাছি নিয়ে যাবে।’
মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে ২০ গোল করা হলান্ডকে ঠান্ডা মাথার খেলোয়াড় বলে মনে করেন পিমেন্তা। মাঠে নিজের পারফরম্যান্স ছাড়া হলান্ড আর কিছুই বোঝেন না বলে মনে করেন তিনি। আর এ বিষয়ে হলান্ডের প্রেরণা তাঁর বাবা আলফি হলান্ড। তিনিও ফুটবলার ছিলেন। পিমেন্তা বলেছেন, ‘হলান্ডের একটি গোপন অস্ত্র আছে, সেটি তার বাবা। সে উত্তেজিত হয় না, কোনো কিছু নিয়ে একদম হারিয়েও যায় না, আর আমার মনেও হয় না কখনো এমন হবে। আমি এমন কোনো বড় খেলোয়াড় দেখিনি, যে শুধু টাকার পেছনে ছোটে।’
হলান্ডের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করেছে সিটি। কিন্তু কিছুদিন আগে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, সিটির সঙ্গে হলান্ডের চুক্তিতে এমন একটি শর্ত আছে, যা তাঁকে ২০২৪ সালে ক্লাবটি ছাড়ার পথ করে দিতে পারে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পিমেন্তা উত্তর দেন মজার ছলে, ‘আইনজীবী হওয়ার ভালো দিক হলো, যখন কেউ কিছু জানার জন্য চাপাচাপি করে তখন বলতে পারি, আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পারব না।’
হলান্ডের সম্ভাব্য দামটা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পিমেন্তা বলেন, ‘তাঁর ফুটবলীয় দাম, ইমেজস্বত্বের দাম এবং স্পনসরদের দাম যদি যোগ করেন, তাহলে অবশ্যই ১ বিলিয়ন পাউন্ড হবে। কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে হলান্ডের তুলনাটা স্বাভাবিক। তবে আমার মনে হয় আর্লিং প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ওই দামটা পাবে—১ বিলিয়ন পাউন্ডের কাছাকাছি।
ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ট্রান্সফার ফির রেকর্ডটি এখন নেইমারের। ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যোগ দেন ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে।