কোপা আমেরিকার পরই জাতীয় দল থেকে অবসর নেবেন দি মারিয়া
আনহেল দি মারিয়া এবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ের মঞ্চ জানিয়ে দিলেন। আর্জেন্টাইন এই উইঙ্গার আর্জেন্টিনার জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলবেন ২০২৪ কোপা আমেরিকায়। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন ফুটবলার।
সবশেষ কাতার বিশ্বকাপ শেষেই জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। তবে কাতার বিশ্বকাপ জয় আর্জেন্টাইনদের অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে। তেমনি বদলে দিয়েছিল দি মারিয়ার সিদ্ধান্তও। আর্জেন্টাইন এই উইঙ্গার বিশ্বকাপ শেষে বলেছিলেন, আর্জেন্টিনার তিন তারকাখচিত জার্সিতে আরও কিছুদিন খেলতে চান। তবে সে যাত্রার ইতি টানছেন আগামী কোপা আমেরিকায়।
ইনস্টাগ্রামে বিদায় নিয়ে দি মারিয়া বলেন, ‘কোপা আমেরিকা হবে আর্জেন্টিনার জার্সিতে আমার শেষ টুর্নামেন্ট। হৃদয়ের গভীরের কষ্ট ও বিষাদ কণ্ঠে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর জিনিসটাকে বিদায় জানাব। যে জার্সি আমি পরেছিলাম, যেটির জন্য ঘাম ঝরিয়েছিলাম এবং গর্বের সঙ্গে আমি যেটি অনুভব করি। সমর্থক, পরিবার ও সতীর্থদের ধন্যবাদ। আমরা ইতিহাস লিখতে থাকব, যা থাকবে অনন্তকাল।’
দি মারিয়া আরও বলেন, ‘বাছাইপর্বে আমার শেষ ম্যাচ খেলে ফেললাম। সতীর্থ, বন্ধুদের ভালোবাসা প্রতিটি মুহূর্তে উপভোগ করেছি, তাদের ছাড়া গল্পটা এমন হতো না। তাদের ভালোবাসাই আমাকে আজকের আমি বানিয়েছে।’
ব্রাজিলের বিপক্ষে বাছাইপর্বের ম্যাচে মাঠে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। দর্শকদের দাঙ্গায় আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা অনেকেই আহত হন। এই প্রসঙ্গে দি মারিয়া বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাঠে যা হয়েছে, সেটা আমরা ভুলে যেতে পারি না। এমন আচরণ কারওরই প্রাপ্য নয়। আশা করছি, এই ধরনের ঘটনা আর হবে না। একজন খেলোয়াড় হিসেবে কোনো সন্দেহ ছাড়াই আমরা আমাদের সমর্থকদের পাশে থাকব।’
২০০৮ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেক হয় দি মারিয়ার। এরপর আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছেন ১৩৬ ম্যাচ। গোল করেছেন ২৯টি, করিয়েছেনও ২টি। তবে এসবের জন্য নয়, আর্জেন্টাইনরা দি মারিয়াকে মনে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য, আর্জেন্টিনাকে শিরোপা এনে দেওয়ার জন্য।
২০০৮ অলিম্পিকে দি মারিয়ার গোলেই স্বর্ণপদক জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এক যুগের বেশি সময় পর তাঁর গোলেই মেসিরা পান কোপা আমেরিকার শিরোপাও। এমনকি গত বছরের জুনে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালির বিপক্ষে ফিনালিসিমায়ও গোল করেছিলেন। আর সবশেষ কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালেও গোল করেছেন এই আর্জেন্টাইন উইঙ্গার।