এই রোনালদো গোল মিসেও বিস্ময় ছড়ান
এমন গোলও মিস করলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো!
মাত্র ছয় গজ দূরে গোলপোস্ট। সামনে চলে এসেছেন গোলরক্ষক, গোলমুখে শুধু একজন ডিফেন্ডার দাঁড়িয়ে। এমন মুহূর্তে যাঁর পায়ে বল, তাঁর পক্ষে বাজি ধরবেন প্রায় সবাই—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গোল নিয়ে প্রতিপক্ষেরও ন্যূনতম সন্দেহ থাকার কথা নয়। কিন্তু এই রোনালদো যে আগের রোনালদো নন!
ম্যাচের পর ম্যাচ মৌসুমের অন্যতম সেরা গোলের বিস্ময় ছড়াতেন যিনি, সেই রোনালদো এবার বিস্ময় ছড়ালেন মৌসুমের অন্যতম সেরা মিসে। খুব কাছ থেকে নেওয়া শটও লক্ষ্যে রাখতে পারলেন না। বল লাগল পোস্টে!
ধারাভাষ্যে থাকা সাবেক ইউনাইটেড মিডফিল্ডার রবি স্যাভেজ বলেই দিলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, রোনালদো এটা কীভাবে মিস করল। মনে হয় না সে নিজেও বিশ্বাস করতে পারছে।’
প্রিমিয়ার লিগে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। যেটুকু পাচ্ছেন, তা–ও বদলি হিসেবে। সর্বশেষ ম্যানচেস্টার ডার্বিতে তো পুরোটা সময় বেঞ্চেই বসে ছিলেন। তাঁকে না খেলানো নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে কোচ এরিক টেন হাগের।
কিন্তু ইউরোপা লিগে যে সুযোগ দিচ্ছেন, সেটিও কি কাজে লাগাতে পারছেন রোনালদো?ইউরোপা লিগে কাল রাতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগ রোনালদোকে ওমোনিয়া নিকোশিয়ার বিপক্ষে শুরুর একাদশে নামিয়েছেন।
এবারের ইউরোপা লিগে এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে শুরুর একাদশে সুযোগ মিলল তাঁর। সাইপ্রাসের ক্লাবটির বিপক্ষে রোনালদো খুব খারাপও খেলেননি।
মাঠে ছিলেন পুরো ৯০ মিনিট। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পাস দিয়েছেন, দুটি সুযোগ তৈরি করেছেন, মার্কাস রাশফোর্ডের করা তৃতীয় গোলে সহায়তাও তাঁরই।
কিন্তু নিজে গোল করতে পারলেন না সহজ সুযোগেও। ৬ গজ দূর থেকে যে সুযোগ পেয়েছিলেন, সেটি ছিল ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে। বাঁ দিক থেকে বল বাড়িয়েছিলেন দিওগো দালোত।
ক্লাব ক্যারিয়ারের ৭০০তম গোলটি তখন রোনালদোর পায়ের নাগালে। সামনে শুধু ওমোনিয়ার একজন ডিফেন্ডার। কিন্তু গোল পেতে মরিয়া রোনালদো গড়বড় করে ফেলেন শটে।
হতাশায় দুই হাত ছড়িয়ে মুষ্ঠি আকাশে ছুড়ে দেন রোনালদো। যেন তাঁর নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য লাগছিল—এ কী করলেন!
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১টিই গোল রোনালদোর। শেরিফের বিপক্ষে সেই গোল ছিল পেনাল্টি থেকে। উন্মুক্ত খেলায় সুযোগ পেয়েও হারালেন বিস্ময়করভাবে।
রোনালদো গোল না পেলেও ম্যাচে ৩টি গোল করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রথমার্ধে করিম আনসারিফার্দের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ওমোনিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা রাশফোর্ড আর অ্যান্থনি মার্শাল ইউনাইটেডকে জয় এনে দেন। ৫৩ আর ৮৪ মিনিটে ২টি গোল করেন রাশফোর্ড। ৬৩ মিনিটে অন্য গোলটি করেন মার্শাল। ৩-১-এ পিছিয়ে পড়ার পর নিকোলাস পানাগিয়েতোর গোলে ফলের ব্যবধান ৩-২-এ নামিয়ে আনে ওমোনিয়া।
এ জয়ে ইউরোপা লিগের ‘ই’ গ্রুপে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ইউনাইটেড, সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল সোসিয়েদাদ।