মোরছালিনের গোলে বাংলাদেশের থিম্পু জয়
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুর উচ্চতা প্রায় ৮ হাজার ফুট। এই উচ্চতা নিয়ে শঙ্কা ছিল বাংলাদেশ দলের। কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রায় এক সপ্তাহ আগে ভুটান গেলেও উচ্চতার কারণে জামাল-তপুদের যে সমস্যা হচ্ছিল, সেটি শোনা যাচ্ছিল।
আজ থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে উচ্চতার সমস্যা ভোগাল বাংলাদেশ দলকে। তবে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ধন্যবাদ দেবেন ভুটানের গোলকিপার শেরিন ধেনদুপকে। ৬ মিনিটে রাকিব হোসেনের ক্রস তিনি ঠিকমতো গ্রিপে নিতে পারেননি, সেই সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছেন শেখ মোরছালিন। ওই একমাত্র গোলেই জিতল ম্যাচের পুরো সময় হাঁসফাঁস কাটানো বাংলাদেশ দল। ভুটানের বিপক্ষে থিম্পুতে এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়।
ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা মুহূর্ত বলতে মোরছালিনের ওই গোলটিই। বাকি সময় বাংলাদেশ এক-দুটির বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। অবশ্য কন্ডিশনের অনভ্যস্ততা ফুটে উঠেছে দলের খেলায়। রাকিব, মোরছালিন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিমরা ভুটানের রক্ষণকে সেভাবে আতঙ্কে ফেলতে পারেননি। উল্টো ভুটান দলই বলের দখল নিজেদের পায়ে রেখে বারবার আক্রমণে উঠেছে। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় তারা আক্রমণগুলোকে কাজে লাগাতে পারেনি।
জামাল ভূঁইয়া আজ প্রথম একাদশে ছিলেন না। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৭০ মিনিটের পর তাঁকে নামানো হয়। দ্বিতীয়ার্ধে শাহরিয়ার ইমন, রাব্বি হোসেন রাহুলদের নামিয়ে ওপরের দিকে বলের দখল বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ। বেশ কিছু কর্নারও আদায় করা গিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শেষ দিকে শাহরিয়ার ইমন একটি সুযোগ নষ্ট করেন। রাব্বি হোসেন রাহুলের একটি দারুণ শট ভুটানের গোলকিপার কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন।
উচ্চতার কারণে দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের ফুটবলাররা যে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন, সেটি তাঁদের শরীরী ভাষাতেই ফুটে উঠছিল। কোচ কাবরেরা আজ কৌশলই সাজিয়েছিলেন ভুটানের উচ্চতার কথা চিন্তা করে। সে কারণে ৬ মিনিটের মাথায় ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের প্রবণতা ছিল ধীরেসুস্থে খেলা। দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ার শঙ্কা থেকেই ছিল এমন কৌশল। শেষ পর্যন্ত আগ্রগামীতা ধরে রেখে ম্যাচটা ভালোভাবেই শেষ করেছে বাংলাদেশ।
আগামী ৮ সেপ্টেম্বর একই মাঠে সন্ধ্যা ৬টায় দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল।