ফার্নান্দেজের চোখে মেসিই সর্বকালের সেরা
সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে?
পেলে-ম্যারাডোনার নামই সবার আগে আসে। এই প্রজন্মের মুখে আবার সেরার প্রশ্নে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নামই বেশি শোনা যায়। তাই এই বিতর্কের আসলে কোনো শেষ নেই।
তবে এনজো ফার্নান্দেজের কাছে সর্বকালের সেরা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। কাতার বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের চোখে, আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসিই সর্বকালের সেরা ফুটবলার।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’কে ফার্নান্দেজ বলেছেন, ‘এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। তিনিই (মেসিই) সর্বকালের সেরা ফুটবলার। তাঁর সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করতে পারা সত্যিই সম্মানের। তিনি এমন এক নেতা, যিনি মাঠ কিংবা ড্রেসিংরুম—সব জায়গাতেই ইতিবাচক চিন্তা করেন।’
সময়ের দুই শীর্ষ তারকা মেসি-রোনালদোর শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে ফুটবল বিশ্বে লম্বা সময় বিভক্তি থাকলেও আর্জেন্টিনা গত বছর বিশ্বকাপ জেতার পর অনেকেই বিতর্ক থামিয়ে দিয়েছেন। পেপ গার্দিওলা, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, লিওনেল স্কালোনি, গ্যারি লিনেকার—এমনকি এক সময়কার প্রতিদ্বন্দ্বী সের্হিও রামোসও শ্রেষ্ঠত্বের প্রশ্নে মেসিকে ভোট দিয়েছেন। এবার আর্জেন্টাইন সতীর্থ ফার্নান্দেজও মেসির পক্ষে রায় দিলেন, সেটাও ফিফা ২০২২ বর্ষসেরা পুরস্কার ঘোষণার ঠিক আগে।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আজ রাতেই ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ পুরস্কার দেওয়া হবে। সেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন মেসি, করিম বেনজেমা ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে গত বছর আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকাপ ও ফিনালিসিমা জেতানো মেসির হাতেই পুরস্কারটা উঠতে যাচ্ছে বলে ধারণা ফুটবলবোদ্ধাদের।
মেসিকে নিয়ে ফার্নান্দেজ আরও বলেছেন, ‘তিনি খুব বিনয়ী ও সবার প্রতি সদয়। বড় তারকাই হোক কিংবা নবীন—দলের সবাইকে সহযোগিতা করেন। পুরো বিশ্বকাপ অভিযানে তিনি আমার পাশে ছিলেন, আমাকে অনেক নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন। বিষয়গুলো আমি অনুভব করেছি। তাঁর সঙ্গে খেলা আমার স্বপ্ন ছিল। এরপর বিশ্বকাপ জয়। মনে হচ্ছিল, ঈশ্বর আমাকে অনেক বড় উপহার দিয়েছেন।’
বিশ্বকাপের পরপরই এনজো ফার্নান্দেজের দাম তরতর করে বাড়তে থাকে। শীতকালীন দলবদলে ২২ বছর বয়সী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে পেতে উঠেপড়ে লাগে বেশ কয়েকটি ইংলিশ ক্লাব। শেষ পর্যন্ত ইংলিশ ফুটবল ইতিহাসের রেকর্ড ১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকায় তাঁকে বেনফিকার কাছ থেকে কিনে নেয় চেলসি। তবে লন্ডনের ক্লাবটির হয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে ফেললেও এখনো জয়ের মুখ দেখেননি, করেছেন শুধু একটি অ্যাসিস্ট।
চেলসির অবস্থা এতটাই বেগতিক যে চাকরি হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন কোচ গ্রাহাম পটার। তবে দুঃসময়ে সমর্থকদের পাশে চাইছেন ফার্নান্দেজ, ‘কোচ ও খেলোয়াড়দের ওপর বিশ্বাস রাখুন। আমরা জেতার চেষ্টা করছি, পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টা করছি।’