বাংলাদেশের ফুটবলে কি আবারও আসছেন পল স্মলি
বাফুফের সঙ্গে দুবার সম্পর্ক ছেদ করে চলে গিয়েছিলেন। সর্বশেষ যান গত জুলাইয়ে। বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের চাকরি ছেড়ে মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে (এফএএম) যোগ দেন একই পদে। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে গত মাসে এফএএমে অভিযান চালায় মালে পুলিশ। দ্বীপদেশটির ফুটবলে চলছে টালমাটাল অবস্থা। ঠিক এই সময়েই বাফুফের সঙ্গে পল স্মলির আবার গাঁটছড়া বাঁধার তোড়জোড় চলছে। বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচ হিসেবে এবার তাঁকে ফেরাতে চায় বাফুফে।
দেখতে হবে পল স্মলিকে দিয়ে আমরা লাভবান হব কি না। আমাদের জন্য তিনি যদি ভালো হন, তাহলে কেন আনব না, অবশ্যই আনব।
আগের দুই মেয়াদে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হলেও পল মূলত কাজ করেছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সঙ্গে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাসহ নারী ফুটবলের উন্নয়নে তাঁর ভূমিকাও অনেক। সেটা বিবেচনায় নিয়েই তাঁকে ফেরানোর উদ্যোগ বলে জানা গেছে। যদিও এ বিষয়ে বাফুফের নারী কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার সরাসরি কিছু বলেননি। তবে পাঁচ মাস না যেতেই পলকে ফেরানোর ইঙ্গিত দিয়ে প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘পলকে আমরা চাইছি, আলোচনা চলছে। দেখা যাক।’
বারবার চলে যাওয়া কোচকে ফিরিয়ে আনার যুক্তিও দিয়েছেন মাহফুজা, ‘এই পেশার লোক চলে যাবে, আবার আসবে, এটাই স্বাভাবিক। দেখতে হবে পল স্মলিকে দিয়ে আমরা লাভবান হব কি না। আমাদের জন্য তিনি যদি ভালো হন, তাহলে কেন আনব না, অবশ্যই আনব।’ ওদিকে বাংলাদেশে আবার ফিরছেন কি না জানতে চেয়ে পল স্মলিকে হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠালে তিনি ফেরার ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
পল স্মলি ঢাকায় প্রথমবার এসেছিলেন ২০১৬ সালে। এরপর ২০১৯ সালে চলে গিয়ে ব্রুনেই জাতীয় দলের কোচ হন। কিছুদিন পরই তাঁকে আবার ফিরিয়ে আনে বাফুফে। সর্বশেষ চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আগষ্ট পর্যন্ত তাঁর বাফুফের সঙ্গে থাকার কথা ছিল। কিন্তু ‘বাংলাদেশের ফুটবলের পরিবেশ ভালো নয়’—এই অভিযোগ তুলে গত জুলাইয়ে নতুন চাকরি নিয়ে চলে যান স্মলি। তখন মনে হয়েছিল, বাংলাদেশের ফুটবলে পল স্মলি অধ্যায় বুঝি শেষই হয়ে গেছে। কিন্তু ঘুরেফিরে আবার সেই পল স্মলিই বাফুফের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছেন। দুই পক্ষ থেকে তেমন ইঙ্গিতই মিলেছে আজ।