চ্যাম্পিয়নস লিগ: হ্যারি কেইনের জোড়া গোল, কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ
বায়ার্ন মিউনিখ ৩:০ লাৎসিও (দুই লেগ মিলিয়ে ৩:১)
প্রথম লেগের ম্যাচে গোল দূরে থাক, একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। দ্বিতীয় লেগও শুরু হলো যেন সেখান থেকেই। প্রথম আধা ঘণ্টার খেলায় দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বলের নাগাল সবচেয়ে কম পেলেন তিনিই (মাত্র ৭ বার)।
শুরুটা এমন বাজে হলেও রাতটা শেষ পযন্ত হ্যারি কেইনেরই। ইংলিশ অধিনায়কের নৈপূণ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে লাৎসিওকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। জোড়া গোল করেছেন কেইন, অপর গোল টমাস মুলারের। প্রথম লেগের পর ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও লাৎসিও হেরেছে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে।
বুন্দেসলিগায় বেকায়দায় থাকা (লেভারকুনেসের চেয়ে ১০ পয়েন্ট পেছনে) বায়ার্ন দুই সপ্তাহ আগে লাৎসিওর মাঠে প্রথম লেগ হেরেছিল ১-০ ব্যবধানে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাস বলছিল, নকআউটে প্রথম লেগে পিছিয়ে থাকা শেষ সাতবারের কোনোটিতেই পরের ধাপে যেতে পারেনি বায়ার্ন।
তবে কেইনের সৌজন্যে আজ সেই ধারায় ছেদ ঘটিয়েছে ইউরোপের ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টায় দল হিসেবে বায়ার্নই খুব একটা ছন্দে ছিল না। যদিও লাৎসিও রক্ষণে বারবারই হানা দিচ্ছিলেন কেইন-মুসিয়ালা-মুলাররা।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বায়ার্ন প্রথম গোল করে ৩৮ মিনিটে। মুলারের হেডে বাড়ানো বল রাফায়েল গেরেইরো নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারলে পেয়ে যান কেইন। মাথা খানিকটা ঝুঁকিয়ে হেডে বল জালে জড়ান ইংলিশ অধিনায়ক।
বিরতির আগে দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। মাথিয়াস ডি লিটের ভলি জালের পথে থাকলেও সামনে থাকা মুলার হেডে গোল নিশ্চিত করেন। মূলত, এই গোলের পরই এক প্রকার গা-ঝাড়া দিয়ে ওঠে বায়ার্ন। যার ছাপ ফুটে ওঠে দ্বিতীয়ার্ধের খেলায়।
বিরতির পর বায়ার্ন গোল পেয়েছে একটিই। তবে লাৎসিও সমতা ফেরাতে পারবে বা বায়ার্নের নিয়ন্ত্রণ আলগা হয়েছে, এমন মনে হয়নি কখনোই। বরং, পুরো ম্যাচে ইতালিয়ান ক্লাবটি একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে আসা বায়ানের গোলটি করেন কেইন। ৬৬ মিনিটে লেরয় সানের শট লাৎসিও গোলকিপার প্রতিহত করলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সামনে থাকা কেইন সহজেই বল জালে পাঠান।
এটি চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরে কেইনের ষষ্ঠ গোল, সব মিলিয়ে ২৭তম। আর বায়ার্নের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৩ ম্যাচে ৩৩ গোল হলো তাঁর। ছাড়িয়ে গেছেন গত মৌসুমে টটেনহামের হয়ে ৪৯ ম্যাচে করা ৩২ গোলকে।
তবে ব্যক্তিগত রেকর্ডের চেয়ে দলীয় অর্জনেই বেশি খুশি হওয়ার কথা কেইনের। নকআউটে প্রথম লেগ হারলেও দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়িয়ে এ নিয়ে পঞ্চমবার জিতল বায়ার্ন। সমান সংখ্যক সাফল্য আছে শুধু বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস ও চেলসির।