শেষ মুহূর্তে নাটকীয় হার মেসিদের

হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন মেসিরাএএফপি

প্রথম প্লে–অফে ২-১ গোলে জেতায় মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল। আজ আটলান্টার মাঠে জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যেত এমএলএস কাপে ইস্টার্ন কনফারেন্সের প্লে–অফে ইন্টার মায়ামির সেমিফাইনাল। সে লক্ষ্যে ইন্টার মায়ামির শুরুটাও ছিল ইতিবাচক। প্রথমার্ধে ডেভিড মার্তিনেজের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ঝড়ে কিছুটা এলোমেলো হয়ে গেল লিওনেল মেসিদের স্বপ্ন।

৫৮ মিনিটে ডেরিক উইলিয়ামসের গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর যোগ করা সময়ের গোলে হেরেই যায় মায়ামি। শেষ মুহূর্তে মেসিদের ২-১ গোলের হারের স্বাদ দেওয়া গোলটি করেন শান্ডে সিলভা।

আরও পড়ুন

এই ম্যাচে আটলান্টার জয়ে তিন ম্যাচের প্লে–অফ সিরিজের শেষ ম্যাচটা এখন নকআউটে পরিণত হয়েছে। ১০ নভেম্বরের সেই ম্যাচে যারাই জিতবে, সেমিফাইনালের টিকিট কাটবে তারাই।

আটলান্টার মাঠ মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে মেসিদের খেলা উপভোগ করতে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৬৯ হাজার দর্শক। উন্মাতাল দর্শকদের সামনে শুরু থেকেই আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। ৩ মিনিটের মাথায় দারুণ একটি সুযোগ এসেছিল মায়ামির সামনে। তবে গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় আটলান্টা। ২২ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ গড়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। কিন্তু ফিনিশিং ঠিকঠাক না হওয়ায় পাওয়া হয়নি কাঙ্ক্ষিত গোলটি।

একাধিকবার চেষ্টা করেও গোল পাননি মেসি
এএফপি

২৫ মিনিটে কাছাকাছি গিয়েও গোল পায়নি আটলান্টা। ২৮ মিনিটে বক্সের বাইরে আটলান্টার আলেক্সেই মিরানচুকের দারুণ একটি প্রচেষ্টা রুখে দেন মায়ামি গোলরক্ষক। ৪০ মিনিটে গোলরক্ষকের হাস্যকর ভুলে গোল খেয়ে বসে আটলান্টা। গোল কিক নিতে গিয়ে তিনি বল তুলে দেন মায়ামির ফেদেরিকো রেডোন্ডোর পায়ে। আলতো পাসে রেডোন্ডো বল বাড়ান মার্তিনেজকে। বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়ে গোল করে মায়ামিকে এগিয়ে দেন এই সেন্টারব্যাক।

আরও পড়ুন

বিরতির পরপর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল মায়ামির সামনে। যদিও গোলরক্ষকের সতর্কতায় বেঁচে যায় আটলান্টা। ৫৫ মিনিটেও সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে মায়ামি। তবে মায়ামি না পারলেও ৫৮ মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে আটলান্টা। ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়ে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন উইলিয়ামস।
এরপর এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুই দলই। সহজ সুযোগও এসেছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে গোল পায়নি কোনো দলই।

আরও পড়ুন

শেষ পর্যন্ত যোগ করা সময়ে বাজিমাত করে আটলান্টা। দারুণভাবে গড়া দলীয় এক আক্রমণ থেকে বক্সের বাইরে বল পান সিলভা। অসাধারণ এক শটে গোল করে দলকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। দারুণ এই জয়ে এখন সেমিফাইনালের আশা বেশ ভালোভাবেই বেঁচে থাকল আটলান্টার। এখন শেষ ম্যাচে মেসিদের বিপক্ষে আরেকটি জয়ের অপেক্ষা।