সতীর্থদের কাছেও ‘গোপন’ রাখা হয়েছে মেসির ফেরার তারিখ
সাম্প্রতিক সময়ে লিওনেল মেসি ও চোটের সম্পর্ক যেন অবিচ্ছেদ্য। বিশেষ করে কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে নিয়মিতই চোটে পড়েছেন মেসি। সবশেষ কোপা আমেরিকার ফাইনালে পায়ের অ্যাঙ্কেলে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন মেসি।
সেদিন মাঠ ছাড়ার পর ডাগআউটে কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা যায় আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচের পর থেকেই ভক্ত-সমর্থকদের চোখ মেসির ফেরার দিকে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামি সম্প্রতি জানিয়েছে, চোটে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। আগামীকাল বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় লিগস কাপে পিউবলার বিপক্ষে মায়ামির প্রথম ম্যাচে তাঁর না খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্লাবের কোচ জেরার্দো মার্তিনোও।
এমনকি মেসি কখন ফিরবেন, সেটি জানেন না তাঁর সতীর্থরাও। মেসির মায়ামি সতীর্থ জুলিয়ান গ্রেসেল জানিয়েছেন, মেসির পা দেখে তাঁর চোটের অবস্থা একেবারেই ভালো মনে হয়নি। পাশাপাশি মেসির ফেরার তারিখ গোপন রাখার কথাও বলেছেন এই ফুলব্যাক।
কোপার ফাইনালে মাঠ ছাড়ার পর মেসির ফুলে যাওয়া পায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর ইন্টার মায়ামি যখন মেসিকে সবচেয়ে বেশি ৪৫ ট্রফি জেতার সংবর্ধনা দেয়, সেদিনও খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায় তাঁকে।
বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার চোট নিয়ে তাঁর সতীর্থ গ্রেসেল বলেন, ‘এটা (চোট) খুবই খারাপ মনে হচ্ছিল। তিনি যেভাবে হাঁটছিলেন, একেবারেই ভালো মনে হচ্ছিল না। তিনি চোটাক্রান্ত জায়গাটাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলেন। এ কারণেই তিনি বুট পরে ছিলেন এবং লিগামেন্টগুলো নিরাময়ের জন্য যত কম হাঁটাচলা করা যায়, সেদিকে খেয়াল রাখছিলেন।’
মেসির চোটের অবস্থা ভালো মনে না হলেও দ্রুত তাঁর ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী গ্রেসেল, ‘সত্যি কথা বলতে, তাঁর ফেরার তারিখ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। ভেতরের খবর আমি বেশি জানি না। এটা খুব ভালোভাবেই গোপন রাখা হয়েছে। এমনকি আমার অন্য সতীর্থদের কাছ থেকেও। তবে আমি বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই। আশা করছি, তিনি তাড়াতাড়ি ফিরবেন। এক বা দুই মাসের মধ্যে নয়; এর আগেও হতে পারে।’