ফাইনালের আগে মেসি কী বলেছিলেন, মনে নেই দি মারিয়ার
ফাইনালে আনহেল দি মারিয়ার গোল মানেই আর্জেন্টিনার জয়। বিশ্বকাপ ফাইনালেও আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি এসেছিল দি মারিয়ার পা থেকে। দুর্দান্ত দলীয় সমন্বয়ের এক গোল হলেও, সেই গোলে এই উইঙ্গারের কৌশলও ছিল দেখার মতো। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ওলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে দি মারিয়া তুলে ধরেছেন সেই গোলের মুহূর্ত।
পাশাপাশি সঙ্গে ফাইনালে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর কিলিয়ান এমবাপ্পে সমতা ফেরানোয় কী অনুভূতি জেগেছিল, সেটিও বলেছেন এই জুভেন্টাস তারকা। আর ফাইনালের আগে দলের উদ্দেশে লিওনেল মেসি কী বলেছিলেন, তা–ও জানিয়েছেন দি মারিয়া।
দলীয় সমন্বয় থেকে দারুণ এক গোল করে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা স্বপ্নে মাতিয়ে তুলেছিলেন দি মারিয়া। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণত গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল তুলে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করে অভ্যস্ত দি মারিয়া। সেদিন অবশ্য সেটি করেননি বরং জোরালো শটেই পরাস্ত করেন আগুয়ান গোলরক্ষক উগো লরিসকে।
সেই গোলের বর্ণনা দিতে গিয়ে দি মারিয়া বলেছেন, ‘আমি গোলরক্ষক কোচ মার্তিন তোসাল্লির সঙ্গে কথা বলেছিলাম, সে আমাকে বলেছিল যে উগো লরিস সব সময় কাভার করার জন্য দ্রুত এগিয়ে আসে। যখন বল আসে, আমি শুধু তুলে নিয়ে ক্রস করার কথা ভাবছিলাম। এরপর বল এলে আমি দ্রুত গিয়ে সেটিকে জোরে মেরে দিলাম। কেউ আমাকে বিশ্বাস করেনি কিন্তু আমি সেটা করেছিলাম। এবার আমি বলকে খোঁচা দিয়ে গোল করার চেষ্টা করিনি। আমি দেখলাম, বলটি আসছে এবং জোরের সঙ্গে সেটিকে ঠেলে দিই। এভাবে গোল আমি ঠিকভাবে অনুশীলনেও করিনি।’
২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর একপর্যায়ে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়কে সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিল দি মারিয়ার কাছে। তবে কাজটা কঠিন করে তুলেছিলেন এমবাপ্পে। ফরাসি তারকা সমতা ফেরানোর পর কি ডাগআউটে হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন দি মারিয়া?
সেই পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে আর্জেন্টাইন তারকা বলেছেন, ‘আমি অনুভব করছিলাম, পুরো পৃথিবী ভেঙে পড়ছে। আর এটা (বিশ্বকাপ) আমাদের ছেড়ে যাচ্ছে। আমরা যখন ছেলেদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, একদিকে মনে হচ্ছিল, বিশ্বকাপ আমাদের ছেড়ে যাচ্ছে। আবার অন্যদিকে মনে হচ্ছিল, আমি যেসব ফাইনালে গোল করেছিলাম, সেগুলোতে আমরা হারিনি। তাই আমার মনে হচ্ছিল, আমরা হারব না। এসব আমার মাথায় ঘুরছিল।’
লুসাইলে ফাইনালের আগে মেসি কী বলেছিলেন, তা নিয়েও দি মারিয়া কথা বলেছেন। তাঁর ভাষ্য, ‘সে খুব শান্ত ও স্বাভাবিকভাবেই কথা বলেছিল। আমরা ১১ জন যখন এগিয়ে যাচ্ছিলাম, সে অল্প কথায় বলেছিল। আমার পুরোপুরি মনেও নেই। সেটা কোপা আমেরিকার মতো ছিল না। আমরা সবাই জানতাম, আমরা কী জন্য খেলছি।’