গোল যা দেওয়ার, প্রথমার্ধেই আসলে দিয়ে রেখেছিল ব্রাজিল। মার্কিনিওস একটি, পরের দুটি রিচার্লিসন। ঘানার বিপক্ষে বিরতির আগেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া ব্রাজিল দ্বিতীয়ার্ধে যেন নেমেছিল বেঞ্চের খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ দিতে। তাতে গোল আর বাড়ল না বটে, তবে কোচ তিতে সবাইকে বাজিয়ে দেখার সুযোগ তো পেলেন। প্রীতি ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ব্রাজিল তাই জিতল ওই ৩-০ গোলেই। তবে এই স্কোরলাইন দিয়ে আসলে ঠিক বোঝানো যাচ্ছে না ম্যাচে কতটা দাপটের সঙ্গে খেলেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ঘানার খেলোয়াড়রাও ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ই আসলে দর্শক হয়ে দেখেছেন ব্রাজিলের খেলা।
২০১১ সালের পর এই প্রথম ঘানার বিপক্ষে খেলেছে ব্রাজিল। সব মিলিয়ে আফ্রিকান দেশটির বিপক্ষে ৫ ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই জয় ব্রাজিলের।
স্কোরলাইন দিয়ে যেমন ম্যাচে ব্রাজিলের দাপট বোঝানো যাচ্ছে না, তেমনি গোলদাতাদের নাম দেখে বোঝা যাবে না, এই ম্যাচে ব্রাজিলের সেরা খেলোয়াড় কে! অবধারিতভাবে নেইমার।
পিএসজির হয়ে মৌসুমের শুরু থেকে অসাধারণ ছন্দে থাকা ব্রাজিল ফরোয়ার্ড জাতীয় দলের জার্সিতেও সেই ফর্মটা টেনে এনেছেন। ফ্রান্সের লা আভরের স্তাদ ওশানেতে আজ তাঁকে থামাতে হিমশিম খেয়েছেন ঘানার ফুটবলাররা। রিচার্লিসনের দুটি গোলই তাঁর বানিয়ে দেওয়া। তবে এ ছাড়াও শুধু প্রথমার্ধেই অন্তত গোটা চারেক গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন সতীর্থদের জন্য, নিজেও একটি শট নিয়েছেন ঘানার গোলমুখে, দারুণ ড্রিবলিং করেছেন, ব্যক্তিগত লড়াইয়ে জিতেছেন। বিশ্বকাপের আগে এমন ছন্দে নেইমারকে দেখা ব্রাজিল সমর্থকদের জন্য অবশ্যই দারুণ আনন্দের ব্যাপার।
৮ মিনিটে রাফিনিয়ার কর্নার থেকে মার্কিনিওসের হেডে করা গোলে শুরু। ২৭ মিনিটে ডান পাশ থেকে নেইমারের বাড়ানো ক্রসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে শট নেন রিচার্লিসন, ঘানার জালে বল। ব্রাজিলের তিন নম্বর গোলটাও আসে নেইমার-রিচার্লিসন জুটিতে। এবার বাঁ পাশ থেকে নেইমারের ফ্রি-কিকে হেড রিচার্লিসনের।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল কোচ দেখেছেন তাঁর বেঞ্চের খেলোয়াড়দের। থিয়াগো সিলভার বদলি নেমেছেন গ্লেইসন ব্রেমার, রিচার্লিসনের বদলে কুনিয়া , কাসেমিরোর বদলে আন্তোনি, ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের বদলে ফাবিনিও, পাকেতার বদলে রিবেইরো, রাফিনিয়ার বদলে রদ্রিগো। ঘানা এই অর্ধে কিছুটা স্বস্তি নিয়ে খেলেছে বটে। তবে গোলের ভালো সুযোগ পায়নি তারপরেও। ম্যাচটা শেষ করতে পেরেই যেন বেঁচেছে আসলে ঘানাইয়ানরা।
বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিল সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচ খেলবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর, তিউনিসিয়ার বিপক্ষে।