কাচারিপাড়ার জালে ১৯ গোল সাবিনা, শামসুন্নাহার, মারিয়াদের
ফল অনুমিতই ছিল। জাতীয় নারী দলের ১৫ জন খেলোয়াড় সমৃদ্ধ নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি যে শক্তি-সামর্থ্যে জামালপুর কাচারিপাড়া একাদশের চেয়ে যোজন ব্যবধানে এগিয়ে। ম্যাচটাও হলো একেবারে একপেশে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে নাসরিন একাডেমির শক্তির সামনে একেবারেই অসহায় ছিল জামালপুর কাচারিপাড়া। ম্যাচে নাসরিন স্পোর্টসের জয়ের ব্যবধান যে ১৯-০!
স্কোরলাইনেই বোঝা যায়, কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নারী ফুটবল লিগে ম্যাচটা কেমন ছিল। নাসরিন স্পোর্টসের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন তিনজন—অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও মারিয়া মান্দা। প্রত্যেকেই করেছেন চারটি করে গোল। জোড়া গোল পেয়েছেন সানজিদা আক্তার, মাতসুশিমা সুমাইয়া ও মাসুরা পারভীন। একটি গোল মার্জিয়ার।
সাবিনা, সানজিদা, মারিয়া, মনিকা, মাসুরা, শামসুন্নাহার, সুমাইয়া, ঋতুপর্ণা, রুপনা, শামসুন্নাহার সিনিয়র—প্রতিটি নামই পরিচিত এবং তাঁরা জাতীয় দলের ফুটবলার। এই খেলোয়াড়েরা আজ গোটা ম্যাচে ছেলেখেলাই করেছেন কাচারিপাড়া একাদশকে নিয়ে। তবে ২০২১ সালের লিগে এই নাসরিন একাডেমিকেই ২০-০ গোলে হারিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস।
প্রথম থেকেই গোলের নেশায় আক্রমণে ঝাঁপিয়েছেন সাবিনারা। ৩ মিনিটের মাথাতেই সেকেন্ডেই মাসুরা গোলমুখ খুলে দেন কাচারিপাড়ার। এরপর ৮ মিনিটের মধ্যেই ৩-০! মাসুরার পাশাপাশি গোল করেন সাবিনা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। ১০ মিনিটে আবার গোল করে ৪-০ করেন মাসুরা। এরপর পেনাল্টি থেকে স্কোরলাইন ৫-০ করেন সাবিনা। ম্যাচ তখন সবে ১৭ মিনিট গড়িয়েছে।
৩০ মিনিটে গোল পান সানজিদা। সাবিনা ৪০ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন (৭-০)। সানজিদা ৪২ মিনিটে ৮-০ করে ফেলেন। ৪৯ মিনিটে শামসুন্নাহার স্কোরলাইন করেন ৯-০। ৫২ মিনিটে শামসুন্নাহার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন (১০-০)।
৫৯ মিনিটে মারিয়া ১১-০ করেন। ৬০ মিনিটে মারিয়াই করে ফেলেন ১২-০। সুমাইয়া ৬৩ মিনিটে ১৩-০ করেন। ৬৫ মিনিটে গোল করেন মার্জিয়া। (১৪-০)। ৭৩ মিনিটে সাবিনা পেয়ে যান তাঁর চতুর্থ গোল (১৫-০)। ৭৬ মিনিটে মারিয়া হ্যাটট্রিক করেন (১৬-০)। ৭৮ মিনিটে মারিয়া চতুর্থ গোলটি করে স্কোরলাইন করে ফেলেন ১৭-০। ৮৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন সুমাইয়া (১৮-০)। ৯০তম মিনিটে শামসুন্নাহার চতুর্থ গোলটি করে স্কোরলাইন ১৯-০ করে ফেলেন।
পুরো ম্যাচে কাচারিপাড়ার মেয়েরা নিজের অর্ধে দাঁড়িয়েই নাসরিনের আক্রমণগুলো ঠেকিয়ে গেছে। কালেভদ্রে তাদের খেলোয়াড়েরা বল নিয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করলেও সেটি খুব সহজেই প্রতিহত হয়েছে। নাসরিন স্পোর্টসের গোলকিপার রুপনা চাকমা ম্যাচে একবারও হাত দিয়ে বল ধরেননি। পুরো প্রথমার্ধে তিনি ছিলেন নীরব দর্শক। একঘেয়ে লাগছিল বলেই হয়তো ওপরে উঠে সতীর্থদের প্রতি বল বাড়িয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধ তাঁকে তুলে নিয়ে নামানো হয় দ্বিতীয় গোলকিপার তাসলিমাকে। তাঁর অবস্থাও ছিল একই রকম।