ইংল্যান্ডে ফুটবল এজেন্টদের কাছে ফিফার হার
লন্ডনের একটি সালিশি আদালতে ফুটবল এজেন্টদের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে হেরে গেছে ফিফা। ক্লাবগুলোর মধ্যে খেলোয়াড় বেচা-কেনায় এজেন্টরা যে ফি ও কমিশন পান, সেটিতে কিছু সীমারেখা বেঁধে দিয়েছিল ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গত অক্টোবর থেকে এটি কার্যকরও হওয়ার কথা।
তবে ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে এ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে নামেন এজেন্ট ও তাঁদের প্রতিষ্ঠান। গতকাল লন্ডনের একটি সালিশি আদালত এজেন্টদের পক্ষে রায় দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ফিফা। এ রায়ের ফলে এজেন্ট নিয়ন্ত্রণে ফিফার প্রজেক্ট হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। কারণ, ফুটবল এজেন্টদের আয়ের অন্যতম শীর্ষ দেশ ইংল্যান্ড। পৃথিবীজুড়ে চলা ঘরোয়া লিগগুলোর মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেই সবচেয়ে বেশি অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে।
ফিফা প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, একজন এজেন্ট ট্রান্সফার ফি থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ আয় করতে পারবেন। আর যেসব খেলোয়াড়ের বেতন বছরে দুই লাখ মার্কিন ডলারের বেশি, তাঁদের কাছ থেকে কমিশন নিতে পারবেন সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ। আর খেলোয়াড়ের বেতন যদি দুই লাখ ডলারের কম হয়, তাহলে ৫ শতাংশ নিতে পারবেন। এ ছাড়া একই ব্যক্তি একটি ট্রান্সফারে খেলোয়াড় বিক্রি করা ক্লাব ও খেলোয়াড় কেনা ক্লাব—দুটিরই এজেন্ট হতে পারবেন না।
যুক্তরাস্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অ্যাথলেটিক’ জানিয়েছে, এজেন্টদের চারটি বড় এজেন্সি ফিফার এসব নিয়মের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল। ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) মনে করে, এজেন্টদের জন্য ফিফার বেঁধে দেওয়া নিয়মগুলো যুক্তরাজ্যের প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলার আইন লঙ্ঘন করে। গত সেপ্টেম্বরে লন্ডনের আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে এ নিয়ে করা মামলার রায় শেষ পর্যন্ত ফিফার বিপক্ষেই গেছে।
এজেন্টদের ফুটবল ফোরাম গ্রুপের বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি জোনাথন বার্নেটের প্রশংসা করা হয়। ‘সব এজেন্টদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’ এই সফলতায় গ্যারেথ বেলের এজেন্ট হিসেবে কাজ করা বার্নেটের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়। ইউরোপের আরও কিছু দেশে ফিফার বিরুদ্ধে এজেন্টদের মামলা চলমান। তবে গত জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালত কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টে এ নিয়ে একটি রায় নিজেদের পক্ষে পেয়েছিল ফিফা।