ব্রাজিলের ৭–১ গোলের হারে কেঁদে ফেলা এনদ্রিক কোপায় ‘জীবন দিতে প্রস্তুত’

ব্রাজিলের নতুন ‘বিস্ময় বালক’ এনদ্রিক ফেলিপেইনস্টাগ্রাম

সেটা ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে সেই হারকে ধরা হয় ‘মারাকানাজ্জো’র পর সবচেয়ে বড় বিপর্যয় হিসেবে। কেউ কেউ অবশ্য বেলো হরিজেন্তের সেই হারকে মারাকানাজ্জোর চেয়েও মর্মন্তুদ বলে মনে করেন। কোন হার নিয়ে কথা হচ্ছে, নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন? ২০১৪ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, জার্মানির কাছে ব্রাজিলের ৭-১ গোলের হার।

এনদ্রিকের বয়স তখন আট বছর। ব্রাজিলের সেই হারে অল্প বয়সী এনদ্রিক চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। অন্য অনেক ভক্তের মতোই কেঁদেছিলেন। কিন্তু দিন গড়িয়ে সেই এনদ্রিক এখন ব্রাজিলের জাতীয় দলের ‘ভবিষ্যৎ।’ ডাক পেয়েছেন কোপা আমেরিকার ব্রাজিল দলেও।

আরও পড়ুন

১৭ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকার এবারই প্রথম কোপা আমেরিকায় খেলবেন। যুক্তরাষ্ট্রে ২০ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্ট সামনে রেখে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এনদ্রিক। সেখানে জানিয়েছেন, কোপা আমেরিকার জন্য তিনি নিজের জীবন দিতেও প্রস্তুত।
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে গত বছর কলম্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের হয়ে অভিষেক এনদ্রিকের। জাতীয় দলের হয়ে এ পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ২ গোল করেছেন জুলাইয়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিতে যাওয়া এ স্ট্রাইকার।

এবার ব্রাজিলের হয়ে প্রথমবারের মতো কোনো চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টে মাঠে নামার অপেক্ষায় এনদ্রিক। যেখানে (কোপা আমেরিকা) দশম মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপার খোঁজ করবে ব্রাজিল। এনদ্রিক এ টুর্নামেন্ট নিয়ে বলেছেন, ‘ফাইনালে উঠতে নিবেদনের কোনো ঘাটতি থাকবে না। সৃষ্টিকর্তা চাইলে হয়তো চ্যাম্পিয়নও হতে পারি। দলের সঙ্গে এটাই আমার প্রথম চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট। আমি নিজের জীবন দিয়ে দেব।’

ওয়েম্বলিতে ব্রাজিলের জয়ে গোল করে আলোচনায় আসেন এনদ্রিক
রয়টার্স

জার্মানির বিপক্ষে ২০১৪ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ব্রাজিলের সেই হারের স্মৃতি নিয়ে এনদ্রিক বলেছেন, ‘তখন ছোট ছিলাম। খুব বেশি কিছু বুঝতাম না। ব্রাজিলের প্রতিটি গোল ও জয়ে উল্লাস করেছি। নেইমারের চোটে কেঁদেছি, (ব্রাজিল) বাদ পড়ার পর কেঁদেছি।’

আরও পড়ুন

কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের খুদে ফুটবলপ্রেমীদের মুখে হাসি ফোটানোর ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন এনদ্রিক। এ জন্য ব্রাজিলের খুদে সমর্থকদের প্রতি বার্তাও দিলেন ব্রাজিল স্ট্রাইকার, ‘ছোটদের জন্য একটি বার্তা দিতে চাই। শুধু তারাই আমার কাছে প্রাধান্য পায়। মনে আছে, সাত কিংবা আট বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপ দেখেছি, সেটা ২০১৪ টুর্নামেন্ট। আশা করি ছোটরা আমাদের খেলা এবং নিবেদন দেখে রোমাঞ্চ অনুভব করবে। আমরা নিজেদের নিংড়ে দেব।’

লস অ্যাঞ্জেলেসে কোস্টারিকার মুখোমুখি হয়ে কোপা আমেরিকা অভিযান শুরু করবে ব্রাজিল।