লামিনে ইয়ামাল গোলটি করার পর ধারাভাষ্যকার বলেছিলেন, ‘দ্যাট ইজ সিম্পলি অ্যামেইজিং।’
ফ্রান্সের বক্সের সামনে থেকে বাঁ পায়ের শট নিয়েছিলেন স্পেন উইঙ্গার। বলটি ধনুকের মতো বেঁকে বাতাসে ভাসতে ভাসতে আশ্রয় নেয় জালে। ফ্রান্স গোলকিপার মাইক মাইনিয়ঁ ডান দিকে মরিয়া ডাইভ দিয়েও বলটি ছুঁতে পারেননি। তখনই বিশ্লেষকেরা ধারণা করেছিলেন, ইয়ামালের গোলটি এবার ইউরোর সেরা গোল হতে পারে।
শেষ পর্যন্ত ঘটলও ঠিক তাই। ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার টেকনিক্যাল পর্যবেক্ষকেরা ইউরো ২০২৪–এর সেরা ১০টি গোল বেছে নিয়েছেন। এর মধ্যে ইয়ামালের গোলটি ‘গোল অব দ্য টুর্নামেন্ট’ বা টুর্নামেন্টের সেরা গোল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
ইউরোর সে সেমিফাইনাল ম্যাচে ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে স্পেন। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে একই ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নও হয়। ফাইনালে স্পেনের প্রথম গোলের উৎস ছিলেন ১৭ বছর বয়সী ইয়ামাল। নিকো উইলিয়ামসকে দিয়ে গোলটি করান। তবে সেমিফাইনালে চোখধাঁধানো সেই গোল করে ইউরোর ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার রেকর্ডও গড়েন বার্সেলোনার এই তরুণ। টুর্নামেন্টের সেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কারও জেতেন ইয়ামাল।
সেরা ১০ গোলের তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছে শেষ ষোলোয় স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে করা ইংল্যান্ড মিডফিল্ডার জুড বেলিংহামের গোলটি। তৃতীয় হয়েছে গ্রুপ পর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সুইস উইঙ্গার জেরদান শাকিরির গোল।
সেরা গোল বেছে নেওয়ার ব্যাপারে উয়েফার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ইউরোয় প্রতি ম্যাচেই উয়েফার টেকনিক্যাল পর্যবেক্ষক দল ছিল। কোচিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁরা প্রতি ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় বেছে নিয়েছেন।
ইউরো ২০২৪: সেরা ১০ গোল
ফাইনাল শেষে সেরা একাদশ, সেরা খেলোয়াড়, সেরা তরুণ খেলোয়াড় এবং টুর্নামেন্টের সেরা গোল বেছে নিয়েছেন টেকনিক্যাল পর্যবেক্ষকেরা। এই পর্যবেক্ষক দলে ছিলেন ফাবিও কাপেলো, ডেভিড ময়েস, ওলে গানার সুলশার, রাফায়েল বেনিতেজ, ফ্রাঙ্ক ডি বোউর, এইতর কারাঙ্কাদের মতো কোচিংয়ে অভিজ্ঞরা।