বেঞ্চে বসে নিজের নামে গোল পেলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার!
পৃথিবী বদলে গেছে, যা দেখি নতুন লাগে—লা লিগায় হেতাফে বনাম আতলেতিকো মাদ্রিদের খেলায় আনহেল কোরেয়ার গোল দেখে ফুটবল রোমান্টিকদের কিশোর কুমারের গাওয়া এই গান মনে পড়তেই পারে! ফুটবলে ভিএআর আসার পর অবশ্য নতুন অনেক চমকই দেখা যাচ্ছে।
তবে গতকাল রাতে যা দেখা গেল, তা অভূতপূর্বই বটে। ১–১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচের ৬০ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠ থেকে নেমে যাওয়ার পর গোল পেলেন আনহেল কোরেয়া। এরপর বেঞ্চ থেকে গোল উদ্যাপন করেছেন এই আতলেতিকো ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের তখন ৬০ মিনিটের খেলা চলছিল। কর্নার পায় আতলেতিকো। সেই কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ক্লিয়ার করেন হেতাফের এক খেলোয়াড়। ডি–বক্সের বাইরে থেকে হেতাফের গোলে জোরাল শট নেন আতলেতিকোর তমাস লেমার।
তবে শটটি ঠেকিয়ে দেন হেতাফে গোলরক্ষক। ফিরতি শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা কোরেয়া। অফসাইড দেখিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হয় সেই গোল।
এরপরই আতলেতিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে মাঠ থেকে তুলে নেন কোরেয়াকে। তাঁর বদলে মাঠে নামেন ইয়ানিক কারাসকো। কোরেয়া যখন মাঠ থেকে উঠে যাচ্ছিলেন, তখন বাতিল হওয়া গোলটি ভিএআরের যাচাই করে দেখা হচ্ছিল। একটু পর বাঁশি বাজিয়ে সিদ্ধান্ত বদলে গোল দিয়ে দেন রেফারি। এরপর শুরু হয় উল্লাস।
এদিন আসল উদ্যাপনটা মাঠে নয়, হয়েছে ডাগআউটে। মাঠের খেলোয়াড়েরাও বেঞ্চে থাকা আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা কোরেয়ার সঙ্গে উদ্যাপনে শামিল হন। বলা যায়, ফুটবল ইতিহাসের অদ্ভুত এক গোলর সাক্ষীই হয়েছে এই ম্যাচ।
এই গোল নিয়ে পরে টুইটও করা হয়েছে আতলেতিকোর অফিশিয়াল পেজ থেকে। যেখানে লেখা হয়, ‘রোমাঞ্চকর, তবে এটা গোল।’ অভিনব এই গোলের পরও ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি আতলেতিকো। ৮৩ মিনিটে পেনাল্টি গোলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে হেতাফে।
এই ড্রয়ের পর ২০ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৪ নম্বরেই থাকল আতলেতিকো। ১৯ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল এবং ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে রিয়াল সোসিয়েদাদ।