১০০ কোটি ইউরো আয়ে রিয়াল মাদ্রিদের নতুন রেকর্ড
প্রথম ফুটবল ক্লাব হিসেবে ১০০ কোটি ইউরো (১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা) রাজস্ব আয়ের রেকর্ড গড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। পরশু রাতে নিজেদের ওয়েবসাইটে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের হিসাব প্রকাশ করেছে রিয়াল। সেখানেই এ তথ্য জানানো হয়।
সর্বশেষ অর্থবছরে সব মিলিয়ে রিয়ালের আয় ১০৭ কোটি ৩০ লাখ ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩ হাজার ৬৯০ কোটি টাকার কাছাকাছি। ২০২২–২৩ অর্থবছরে তাদের আয় ছিল ৮৪ কোটি ৩০ লাখ ইউরো (১০ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা)।
ইউরোপের সফলতম ক্লাবটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৩–২৪ অর্থবছরে আমাদের মোট পরিচালন আয় (স্থায়ী সম্পদের নিষ্পত্তির আগে) হয়েছে ১.০৭৩ বিলিয়ন ইউরো, যা ২০২২–২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২৩০ মিলিয়ন ইউরো (২৭%) বেশি। এ সময়ের মধ্যে (সান্তিয়াগো বার্নাব্যু) স্টেডিয়াম পুরোপুরি চালু না হওয়া সত্ত্বেও ক্লাব ১ বিলিয়ন ইউরো পরিচালন আয় করতে সফল হয়েছে। যেকোনো ফুটবল ক্লাবের জন্য এটি একটি নজিরবিহীন পরিসংখ্যান।’
রিয়াল মাদ্রিদের আয় (সর্বশেষ ৫ অর্থবছর)
গত মৌসুমে রিয়াল সম্ভাব্য চার শিরোপার তিনটিই জিতেছে। জানুয়ারিতে কোপা দেল রের শেষ ষোলো থেকে কার্লো আনচেলত্তির দল বিদায় নিলেও একই মাসে স্প্যানিশ সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর মে মাসে লা লিগা আর জুনে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতে লস ব্লাঙ্কোসরা। মাঠে ভিনিসিয়ুস–ক্রুস–কারভাহালদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে ক্লাবের অর্থনীতিতেও।
বিবৃতিতে রিয়াল আরও জানিয়েছে, স্পেন সরকারকে কর পরিশোধের পরও ২০২৩–২৪ অর্থবছরে তাদের লাভ ১ কোটি ৬০ লাখ ইউরো (২০৪ কোটি টাকা), যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩২ শতাংশ বেশি।
মহামারি করোনার আগে এই শতাব্দীতে প্রতিবছরেই লাভের মুখ দেখেছে রিয়াল। বেশির ভাগ অর্থবছরে আয়ও ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে করোনাকালীন দুই অর্থবছরে (২০১৯–২০ ও ২০২০–২১) অন্য ক্লাবগুলোর মতো রিয়ালকেও লোকসান গুনতে হয়। সর্বশেষ তিন অর্থবছরে সেই ক্ষতি ভালোভাবেই কাটিয়ে উঠেছে তারা। পরাশক্তিধর বেশ কয়েকটি ক্লাব যেখানে এখনো মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি, সেখানে রিয়ালের এভাবে ঘুরে দাঁড়ানো অবিশ্বাস্যই বলতে হয়।
২০২৩–২৪ অর্থবছরে বিপুল পরিমাণ আয়ের পর গত ৩০ জুন পর্যন্ত রিয়ালের মোট সম্পদের মূল্য প্রতিবছর বাড়তে বাড়তে ৫৭ কোটি ৪০ লাখ ইউরোয় (৭ হাজার ৩২২ কোটি) পৌঁছেছে।
ক্লাবটি আরও জানিয়েছে, সর্বশেষ অর্থবছরে সম্প্রচার ব্যতীত তাদের সব ধরনের ব্যবসায়িক পরিধি বেড়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মার্চেন্ডাইজিং (বিপণন) ও পৃষ্ঠপোষকতা থেকে আয়। বিশেষ করে জার্সির হাতায় বিখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এইচপির লোগো ব্যবহারবিষয়ক চুক্তির পর ক্লাবের উপার্জন লাফিয়ে বেড়েছে।
এ ছাড়া কর রাজস্ব ও সামাজিক নিরাপত্তায় ক্লাবটির অবদান ছিল ২৭ কোটি ৭১ লাখ ইউরো (৩ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা)।