ইস্পাহানি–প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল: আরও বড় আয়োজনে টুর্নামেন্টের ড্র
১৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম অঞ্চলের খেলা দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে দ্বিতীয় ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট। ঢাকার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের সুরমা হলে আজ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল টুর্নামেন্টের ড্র।
টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১০টি দল খেলবে দু্ই গ্রুপে ভাগ হয়ে। খুলনা ও রাজশাহী থেকে খেলছে ৪টি করে দল। ঢাকায় ২৪টি দল ৪টি গ্রুপে ভাগ হয়ে অংশ নিচ্ছে। খেলা হবে নকআউটভিত্তিক। প্রতিটি গ্রুপের সেরা দল উঠে আসবে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্বে।
গত বছর টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে খেলেছিল ৩২টি দল, এবার ৪২টি। সেবার খেলা হয়েছিল চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ঢাকায়। এবার হবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনায়। চট্টগ্রামে শুরু হয়ে রাজশাহী ও খুলনা ঘুরে টুর্নামেন্ট আসবে ঢাকায়। ২৭ নভেম্বর ঢাকায় শুরু আঞ্চলিক পর্ব। শেষ চূড়ান্ত পর্ব শুরু হবে ৫ ডিসেম্বর। ফাইনাল হবে ৯ ডিসেম্বর।
ড্র অনুষ্ঠানে ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা, যা পরিচালনা করেন সাবেক ফিফা রেফারি ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের হেড অব রেফারিজ আজাদ রহমান।
ড্রয়ের কুপন তোলেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ইমতিয়াজ সুলতান জনি, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলাম মানিক, টুর্নামেন্ট কমিটি সদস্য ও সাবেক তারকা ফুটবলার আলফাজ আহমেদ ও ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব, দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল ও ক্রীড়ালেখক ইকরামউজ্জমান।
টুর্নামেন্টটির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইস্পাহানি গ্রুপের পরিচালক ইমাদ ইস্পাহানি। এমন টুর্নামেন্ট তরুণদের অনুপ্রাণিত করে জানিয়ে তাঁর কথা, ‘আশা করি তরুণদের সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে এই আয়োজনে।’
ইস্পাহানির মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) ওমর হান্নানের মুখেও একই কথা, ‘গতবার এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাড়া পেয়েছি। তাই আমরা দ্বিতীয়বারের মতো টুর্নামেন্টটির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা এই কাজটা করছি।’
এই টুর্নামেন্ট দেশের ফুটবলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে মনে করছেন অন্য বক্তারা। টুর্নামেন্ট সফল করতে খেলোয়াড়দের প্রতি খেলোয়াড়ি মনোভাব দেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু। তিনি বলেন, ‘হারজিত বড় নয়, খেলায় অংশগ্রহণই বড়। খেলোয়াড়ি মানসিকতা নিয়েই খেলতে হবে।’
দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক অবদান রাখছে। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে খেলাধুলায়ও তারা বড় ভূমিকা রাখবে বিশ্বাস করেন আশির দশকে মোহামেডান ও আবাহনীতে খেলা সাবেক ফুটবলার ইমতিয়াজ সুলতান জনি।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র।