জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোয় নিষিদ্ধ ফরাসি ফুটবলার
সতীর্থের পুরস্কারপ্রাপ্তিতে অভিনন্দন জানানো, জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো-ক্লাব ফুটবলে এসব একপ্রকারের রীতিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এমনই এক শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেঁসে গেছেন ফরাসি ফুটবলার রায়ান হাসাদ। মার্শেইয়ের এই ফুটবলার সতীর্থ চানসেল এমবেমবাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন।
১৮ বছর বয়সী হাসাদ নিজেই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নিষেধাজ্ঞার খবর সামনে এনেছেন।
ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম লা প্রোভেন্সের বরাতে গেট ফ্রেঞ্চ ফুটবল নিউজ জানায়, ডিফেন্ডার এমবেমবাকে অনুশীলনে ‘বাজে আচরণের’র দায়ে মার্শেইয়ের মূল দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি রিজার্ভ দলের সঙ্গে আছেন। একই দলে আছেন হাসাদ, যাঁর এখনো মূল দলে অভিষেক হয়নি।
এমবেমবার জন্মদিনে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট দেন হাসাদ। সেখানে লেখেন ‘হ্যাপি বার্থ ডে কাজিন’। এই ‘কাজিন’ শব্দটি এমবেমবার নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে পোস্টটিতে ক্ষুব্ধ হয় কর্তৃপক্ষ। এর আগেই এক সতীর্থকে অপমান এবং ক্লাবের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন না করার কারণে হাসাদের ওপর কর্তৃপক্ষ অসন্তুষ্ট ছিল। এবারের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছেন হাসাদ। সেখানে ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এক সতীর্থকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জেরে মার্শেই কর্তৃক আমাকে সতর্কতাস্বরূপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটি পরিষ্কার করতে চাই যে আমি কখনোই ক্লাব এবং এর ম্যানেজমেন্টের কোনো ক্ষতি করতে চাইনি। এটা সাধারণ একটা জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা ছিল। যা আমি অন্য সতীর্থদের বেলায়ও করে থাকি। আমি যদি কাউকে দুঃখ দিয়ে থাকি, তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। তবে এটা জেনে রাখবেন কাউকে দুঃখ দেওয়ার মনোভাব আমার কখনোই ছিল না।’
গত বছর ফ্রান্সের শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগ আঁতে অষ্টম হওয়া মার্শেই এবার খেলছে নতুন কোচের অধীনে। দলটির কোচ এখন ইংল্যান্ডের ক্লাব ব্রাইটন থেকে আসা রবার্তো ডি জের্বি।