২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

কারা খেলবেন ‘বুড়ো’দের বিশ্বকাপে

বার্সেলোনায় গত রাতে ‘ইপিজি ওয়ার্ল্ড কাপ’ আয়োজনের ঘোষণা দেন সাবেক ফুটবলাররাছবি : টুইটার

আগের প্রজন্মের ফুটবলপ্রেমীরা যাঁদের খেলা দেখে বড় হয়েছেন, তাঁদের নিশ্চয়ই আবার মাঠে দেখতে ইচ্ছে করে! সেই ইচ্ছে এ বছরেই পূরণ হতে পারে। সুযোগটা করে দিচ্ছেন সাবেক ফুটবলাররাই।

ডিসেম্বরে ‘অভিজাত শ্রেণির’ ফুটবলারদের নিয়ে হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ। সাবেক ফুটবলারদের সংগঠন এলিট প্লেয়ার্স গ্রুপ (ইপিজি) গত রাতে বার্সেলোনায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দিয়েছে। টুর্নামেন্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইপিজি ওয়ার্ল্ড কাপ’।

ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু, এস্তেবান কাম্বিয়াসো, মিচেল সালগাদোসহ বেশ কয়েকটি দলের স্বঘোষিত অধিনায়ক ও সংগঠনের সভাপতি মাতিয়াস সারাসোলা ‘বুড়ো’দের বিশ্বকাপ আয়োজনের ঘোষণা দেন। নতুন এ টুর্নামেন্ট ফুটবল-বিশ্বে বিশেষ জায়গা দখল করবে বলে বিশ্বাস তাঁদের।

এলিট প্লেয়ার্স গ্রুপের অনুষ্ঠানে তারার মেলা
ছবি : টুইটার

অনুষ্ঠানে ইপিজির সভাপতি সারাসোলা বলেন, ‘এটি ভক্তদের জন্য উৎসাহ ও রোমাঞ্চে ভরা একটি টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। (সাবেক) ফুটবলাররা আবারও দেখাবেন, প্রতিভা ও ফুটবল-আসক্তির কোনো সীমা নেই। দর্শকেরা দেখবেন, তাঁদের কৌশলের ঔজ্জ্বল্য এখনো ফুরিয়ে যায়নি এবং অভিজ্ঞতা তাঁদের কীভাবে খেলাটির সত্যিকারের কিংবদন্তি বানিয়েছে।’

আরও পড়ুন

এর আগে গত বছর কাতারে বিশ্বকাপ চলাকালীন কিংবদন্তিদের নিয়ে লিজেন্ডস কাপ আয়োজন করেছিল ফিফা। ডিসেম্বরে ইপিজি বিশ্বকাপ কোথায় হবে, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। তবে অধিনায়কসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের নাম, অংশগ্রহণকারী দল, অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে খেলোয়াড়ের যোগ্যতা ও টুর্নামেন্টের বাইলজ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

কলকাতায় গত বছর প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কাফু
ছবি : এএফপি

কারা খেলতে পারবেন

অবসরপ্রাপ্ত ফুটবলার হতে হবে। বয়স হতে হবে ৩৫ বছরের বেশি। বিশ্বকাপে কমপক্ষে একটি ম্যাচ অথবা ১০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে অধিনায়কদের ক্ষেত্রে একটি বিশ্বকাপ ম্যাচ অথবা ১০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার নিয়ম প্রযোজ্য নয়। এ ব্যাপারে সারাসোলা বলেছেন, ‘যাঁরা বিশ্ব ফুটবলে একটি স্থায়ী ছাপ রেখেছেন এবং যাঁদের প্রদর্শনী চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে, তাঁদের নিয়েই দলগুলো গঠন করা হবে।’

কয়টি দেশ অংশ নেবে, অধিনায়ক কারা

এখন পর্যন্ত ফিফা বিশ্বকাপ জয়ী ৮টি দেশ ‘বুড়ো’দের বিশ্বকাপে অংশ নেবে। দলগুলোকে নেতৃত্ব দেবেন—এস্তেবান কাম্বিয়াসো (আর্জেন্টিনা), এমারসন (ব্রাজিল), মার্কো মাতেরাজ্জি (ইতালি), ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু (ফ্রান্স), মিচেল সালগাদো (স্পেন), স্টিভ ম্যাকমানাম্যান (ইংল্যান্ড), দিয়েগো লুগানো (উরুগুয়ে) ও কেভিন কুরানি (জার্মানি)।

কীভাবে ম্যাচ ও টুর্নামেন্ট পরিচালনা করা হবে

স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী, একেকটি দলে ১১ জন খেলোয়াড় থাকবেন। তবে ম্যাচ হবে ৭০ মিনিটের। দুই অর্ধের মাঝে ১৫ মিনিট বিরতি থাকবে। কোনো অতিরিক্ত সময় থাকবে না। নির্ধারিত ৭০ মিনিট পর দুই দল সমতায় থাকলে ম্যাচ সরাসরি টাইব্রেকারে গড়াবে। টুর্নামেন্ট হবে নকআউট পদ্ধতিতে। একটি দল সর্বনিম্ন একটি থেকে সর্বোচ্চ ৩টি ম্যাচ পাবে। সব ম্যাচ একটি ভেন্যুতেই হবে এবং মাঠ হবে জীবন্ত ঘাসের।

কাতারে গত বছর ফিফা লিজেন্ডস কাপে খেলেছেন কাকা–কাফু–জানেত্তিরা
ছবি : ফিফা

খেলোয়াড় হিসেবে কারা থাকছেন

দলগুলোর একাদশ গড়া এখনো শেষ হয়নি। তবে গত রাতের অনুষ্ঠানে অধিনায়কেরা বেশ কয়েকজন সতীর্থের নাম বলেছেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, সম্ভাব্য খেলোয়াড় হিসেবে থাকছেন কাকা, কাফু ও রিভালদো (ব্রাজিল), পাবলো জাবালেতা, ম্যাক্সি রদ্রিগেজ ও হাভিয়ের জানেত্তি (আর্জেন্টিনা), দাভিদ ভিয়া, ফার্নান্দো মরিয়েন্তেস, হোয়ান কাপদেভিলা ও গাইজকা মেন্দিয়েতা (স্পেন)।

আরও পড়ুন

স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা কার্লেস পুয়োল ও দেশটির হয়ে দুটি বিশ্বকাপ খেলা হোয়াকিন সানচেজও থাকতে পারেন। ৪১ বছর বয়সী হোয়াকিন ২০০৭ সালের পর জাতীয় দলে ডাক না পেলেও ক্লাব ফুটবল এখনো খেলে যাচ্ছেন। এ মৌসুম শেষে পেশাদার ক্যারিয়ারকে বিদায় জানাবেন রিয়াল বেতিসের এই উইঙ্গার।