থাইল্যান্ড–মালয়েশিয়ার প্রস্তুতি দেখে দুঃখ হয় অনূর্ধ্ব–২৩ দলের কোচের
কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুর আশা ছিল, মালয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ থেকে অন্তত একটা পয়েন্ট তুলে নেবে তাঁর দল। থাইল্যান্ডের চনবুরিতে এশিয়ান কাপ অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে খুব একটা খারাপ খেলেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। ৮১ মিনিট পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছিল। কিন্তু সেই দলই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হেরেছে ২-০ গোলে!
কোচ মিন্টুর দুঃখ, ‘আর কিছু সময় আটকে রাখতে পারলাম না। গোলের সুযোগও মিস করেছে ছেলেরা। এই পর্যায়ে আগাগোড়া মনোযোগ ধরে রাখাটা জরুরি। সেটির ঘাটতিই ছিল প্রথম ম্যাচে। নয়তো বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা যেভাবে খেলেছে, তাতে অন্তত একটা পয়েন্ট পাওয়া অসম্ভব ছিল না।’
এশিয়ান কাপ অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্বে পরীক্ষাটা যথেষ্টই কঠিন বাংলাদেশের জন্য। মালয়েশিয়ার পর বাংলাদেশকে আরও দুটি পরীক্ষায় নামতে হবে—থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনের বিপক্ষে। আজ থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে কোচের আক্ষেপ প্রস্তুতি নিয়েই, ‘থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া—এমনকি ফিলিপাইন, কীভাবে বয়সভিত্তিক দল তৈরি করে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটি দেখলে নিজেদের জন্য দুঃখ হয়। যে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আমরা হারলাম, তাদের অনূর্ধ্ব-২৩ দল বেশ কয়েক বছর ধরে একসঙ্গে আছে। তারা অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়ান কাপেও খেলেছে। তারাই এখন অনূর্ধ্ব-২৩। এদেরকেই মালয়েশিয়ার পরবর্তী জাতীয় দল হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। আর আমরা এ ধরনের টুর্নামেন্ট এলে একটা দল তৈরি করে খেলাই। আমার খেলোয়াড়েরা প্রতিভাবান, তাদেরও সামর্থ্য আছে। কিন্তু অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্বের পর তারা কোথায় থাকবে, তা জানে না। এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি দরকার।’
মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে কোচ জুলফিকার মাহমুদের মূল্যায়ন, ‘আমরা প্রথম গোলটা খাই ৮১ মিনিটে। দূরপাল্লার শটে। আগের ৮০ মিনিট হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। এ ধরনের ম্যাচে, এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ দিক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ওই সময় মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। এই জায়গায় ঘাটতি আছে দলের। ম্যাচের মধ্যেও খেলোয়াড়দের সৃষ্টিশীলতার ঘাটতি ছিল। বল দখলে নিয়ে আক্রমণ তৈরি করা, বল আদান-প্রদানে বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ দরকার। সেটি তখনই খেলোয়াড়েরা করতে পারবে, যখন দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণে থাকবে। তবে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে সামগ্রিক পারফরম্যান্সে আমি অখুশি নই। খেলোয়াড়েরা নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটাই দিয়েছে।’
থাইল্যান্ড নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফিলিপাইনকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই বলেই মনে করেন জুলফিকার মাহমুদ, ‘থাইল্যান্ড অনেক শক্তিশালী দল। গ্রুপ এইচে তারাই সবচেয়ে শক্তিশালী। ফিলিপাইনকে উড়িয়ে দিয়ে সেই প্রমাণ তারা ভালোভাবেই রেখেছে। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ছেলেরা সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলবে। এতটুকু বলতে পারি।’
ফিলিপাইনের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়েও সরাসরি কোনো আশাবাদ জানাননি জুলফিকার মাহমুদ, ‘ফিলিপাইনের বিপক্ষে মৌলিক কাজগুলো ঠিক করে করতে হবে। ছোটখাটো ভুল করা যাবে না। হাফ চান্স এলেও সেটি কাজে লাগাতে হবে। তবে তারা থাইল্যান্ডের কাছে ৫ গোলে হেরেছে বলে ওদের খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’