বিশ্বকাপ ফাইনালের চুমু–কাণ্ডে রুবিয়ালেসের জরিমানা
২০২৩ নারী বিশ্বকাপ ফাইনালের বহুল আলোচিত চুমু–কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সাবেক স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। স্পেনের উচ্চ আদালত আজ হেনি হেরমোসোকে যৌন হয়রানির দায়ে রুবিয়ালেসকে ১০ হাজার ইউরো জরিমানা করেছেন।
তবে চুমুকাণ্ডে জরিমানা হলেও চাপপ্রয়োগের মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাপা চেষ্টার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবীরা রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে সম্মতিবিহীন চুমুর জন্য এক বছর এবং চাপপ্রয়োগের জন্য দেড় বছরের কারাদাণ্ড চেয়েছিলেন।
২০২৩ সালের আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ফিফা নারী বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ফাইনাল শেষে পুরস্কারবিতরণী মঞ্চে ফুটবলাররা পদক নিতে উঠলে হেরমোসোকে চুমু খান মঞ্চে থাকা রুবিয়ালেস। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতির এই কাণ্ডে প্রথমে স্পেন, এরপর বিশ্ব ফুটবলাঙ্গনে তোলপাড় ওঠে। এ ঘটনার জেরে রুবিয়ালেসকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় ফিফা।
রুবিয়ালেস প্রথম থেকেই দাবি করেন, চুমুতে হেরমোসোর সম্মতি ছিল। তবে হেরমোসো তা অস্বীকার করেন। শেষ পর্যন্ত বিচারিক আদালত সম্মতিবিহীন চুমুর অভিযোগে রুবিয়ালেসকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সাবেক স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতির পাশাপাশি সাবেক নারী দলের কোচ জর্জ ভিলদা, ছেলেদের দলের ক্রীড়া পরিচালক আলবার্ট লাক ও ফেডারেশনের বিপণন পরিচালক রুবেন রিভেরার বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাপা চেষ্টার অভিযোগ ছিল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের। তবে এ ক্ষেত্রে তাঁদের অপরাধ প্রমাণিত হয়নি বলে খালাস দেওয়া হয়েছে।
ইএসপিএনের খবরে বলা হয়, আদালতের রায়ের ভিত্তিতে আগামী এক বছর হেরমোসোর সঙ্গে যোগাযোগ বা তাঁর ২০০ মিটার অঞ্চলের মধ্যে যেতে পারবেন না রুবিয়ালেস। ১০ হাজার ইউরো জরিমানা পরিশোধ করতে হবে ১৮ মাসের মধ্যে।
হেরমোসোর আইনজীবীদের পক্ষ থেকে রায়ের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।