ডর্টমুন্ডের কাছে হেরেও ৬ বছর পর সেমিফাইনালে বার্সেলোনা

হেরেও স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা।রয়টার্স

ডর্টমুন্ড ৩:১ বার্সেলোনা (দুই লেগ মিলিয়ে বার্সেলোনা ৫-৩ ব্যবধানে জয়ী)

এক দল শট নিয়েছে ১৮টি, লক্ষ্যেই ছিল ১১টি।

আরেক দল শটই নিয়েছে ৭টি, লক্ষ্যে মাত্র দুটি।

স্পষ্ট ব্যবধান গোলসংখ্যায়ও। ৩টির বিপরীতে ১টি। এত কিছুর পরও দিন শেষে হাসিমুখ দ্বিতীয় দলটিরই। দলটির নাম বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে ৪-০ ব্যবধানে জেতা বার্সা আজ বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে দ্বিতীয় লেগে হেরেছে ৩-১ গোলে।

তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। এক দশক আগে শেষবার ইউরোপীয় ট্রফি জেতা বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠল ছয় বছর পর।

গত সপ্তাহে প্রথম লেগ বড় ব্যবধানে জেতায় শেষ চারে এক পা দিয়েই রেখেছিল বার্সেলোনা। তবে সিগনাল এদুনা পার্কে হানসি ফ্লিকের দলকে বড় ঝড়ই সামাল দিতে হয়েছে। ম্যাচের ১১ মিনিটেই গোলকিপার ভয়েচেক সেজনির ফাউলের কারণে পেনাল্টির বাঁশি বাজে বার্সেলোনার বিপক্ষে। যে পেনাল্টি থেকে গোল করে ডর্টমুন্ডকে এগিয়ে দেন সেরহু গিরাসি।

ডর্ডমুন্ডের হয়ে তিনটি গোল করেন গিরাসি।
রয়টার্স

তবে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ৪-১ থাকায় তখনো অতটা দুশ্চিন্তার কারণ ছিল বার্সেলোনার। তবে এরপর একের পর এক আক্রমণে বার্সা রক্ষণকে তটস্থ করে ফেলে ডর্টমুন্ড। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলেও বার্সার মনে ভয় ধরিয়ে দিতে সক্ষম হয় স্বাগতিকেরা।

ওই সময়ের মধ্যে নিজেরা মাত্র একটি শট নিতে পারলেও ডর্টমুন্ডের লক্ষ্যে শটই মোকাবেলা করতে হয়েছে ৭টি। ২০২৪-২৫ মৌসুমে কোনো প্রতিযোগিতার কোনো ম্যাচেই বার্সেলোনা প্রথমার্ধে এত বাজে খেলেনি।

আরও পড়ুন

বিরতির পর বার্সাকে আরও কোণঠাসা করে ফেলে ডর্টমুন্ড। ৪৯তম রামি বেনসেবাইনির হেড পাস থেকে হেডে বল জালে জড়ান গিরাসি। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন কমে আসে ৪-২।

তবে ৫৩তম মিনিটেই একটি গোল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। ফারমিন লোপেজের বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল ঠেলে দেন প্রথমার্ধে বার্সাকে সবচেয়ে বেশি ভোগানো ডিফেন্ডার রামি।

ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে ডর্টমুন্ডকে আরেকটি গোল এনে দেন গিরাসি। রোনাল্দ আরাউহো বল গিরাসির পায়ে তুলে দিলে সহজেই জালে জড়িয়ে দেন গিনির এই স্ট্রাইকার। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি গিরাসির ১৩তম গোল।

তিনটি গোল হজম করেছে বার্সেলোনা।
রয়টার্স

স্কোরলাইন ৫-৩ ব্যবধানে এনে সমতার জন্য মরিয়া চেষ্টা ছিল ডর্টমুন্ডের। ইউলিয়ান ব্রান্ডট বল জালেও পাঠিয়েছেন একবার, কিন্তু অফসাইডে তা বাতিল হয়। বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে ৩-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতেও দুই লেগের স্কোরলাইনে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ডর্টমুন্ডকে।

বার্সেলোনা সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২৪ ম্যাচ পর হারের মুখ দেখলেও মাঠ ছেড়েছে হাসিমুখেই। ২০১৯ সালের পর এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে খেলবে দলটি। সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ হবে আগামীকাল বায়ার্ন মিউনিখ-ইন্টার মিলানের মধ্যকার জয়ী দল।

আরও পড়ুন