৮৫ কোটি টাকায় গ্রামে বাড়ি কিনলেন হলান্ড

ম্যানচেস্টার সিটি তারকা আর্লিং হলান্ডহলান্ডের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল

নাহ, ইংল্যান্ডে শিকড়টা গেড়েই ফেললেন আর্লিং হলান্ড।

নতুন চুক্তির তাজা খবর আপাতত নেই। বর্তমান চুক্তির অধীন এমনিতেই ইতিহাদে ২০২৭ সাল পর্যন্ত আছেন হলান্ড। গুঞ্জন আছে, বছরে ২ কোটি ৫৩ লাখ ডলারে হলান্ডের সঙ্গে আরও দীর্ঘ মেয়াদের চুক্তি করতে চায় সিটি। ব্যাপারটা যখন আলোর মুখ দেখবে, তখনই জানা যাবে। আপাতত হলান্ডের ইংল্যান্ডে শিকড় গাড়ার খবরটি তাঁর চুক্তি নিয়ে নয়। বিষয় তাঁর থাকার জায়গা নিয়ে। ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার পর দীর্ঘদিন ম্যানচেস্টার সিটি সেন্টারের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতেন হলান্ড। বাড়িওয়ালাকে মাসে মাসে ভাড়া গোনার ঝামেলা এড়াতে এবার ইংল্যান্ডে বাড়িই কিনে ফেলেছেন এ তারকা। বাড়িটাও যেনতেন কিছু নয়। বিলাসবহুল আস্ত এক ম্যানশন। আর বাড়ি যেহেতু কিনেই ফেলেছেন, তাহলে তো বলাই যায়, ইংল্যান্ডে শিকড় পুঁতেছেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার।

আরও পড়ুন

ম্যানচেস্টার সিটি সেন্টারে হলান্ডের প্রতিবেশী ছিলেন তাঁরই ক্লাব সতীর্থ জ্যাক গ্রিলিশ। ২০২৩ সালে সিটি সেন্টার ছেড়ে চেশায়ারের ছায়াঘেরা শান্ত মনোরম জায়গায় ৫৬ লাখ পাউন্ডে এক ম্যানশন কিনে সেখানে চলে যান গ্রিলিশ। হলান্ডও গ্রিলিশের পথ ধরলেন। চেশায়ারেই গ্রিলিশের বাসা থেকে মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্বে ম্যানশন কিনেছেন। দাম? সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গ্রিলিশের দেওয়া দামেই—৫৬ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা)।

হলান্ডের সঙ্গে তাঁর প্রেমিকা ইসাবেল
ইসাবেলের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল

হলান্ড যে বাড়ি খুঁজছেন, সেটি প্রথম জানা গিয়েছিল গত বছরের অক্টোবরে। ২০ বছর বয়সী প্রেমিকা ইসাবেল হেগসেন ইয়োহানসেনকে নিয়ে তাঁর বাড়ি খোঁজার খবর জানিয়েছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। ইসাবেল নিজেও ফুটবলার। এর পাশাপাশি একটি ফ্যাশন স্টোরে খণ্ডকালীন কাজ করেন। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২৪ বছর বয়সী হলান্ডের সঙ্গে নরওয়ের ক্লাব ব্রাইনে পরিচয় ইসাবেলের। সেখানে বয়সভিত্তিক দলে খেলেছেন দুজনই। কিছুদিন আগে হলান্ড ও ইসাবেল সন্তানের মুখ দেখেছেন। এখন একটু থিতু হতেই নাকি বাড়ি কিনেছেন হলান্ড–ইসাবেল জুটি, জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান।

চেশায়ারের যেখানে গ্রিলিশ ও হলান্ডের বাড়ি—সে জায়গাটির নাম অলডারলে এজ। এটি একটি গ্রাম। ম্যানচেস্টার সিটি সেন্টার থেকে আধা ঘণ্টার দূরত্ব। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও সিটির খেলোয়াড়দের কাছে জায়গাটি কিন্তু অনেক পরিচিত। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ডেভিড বেকহাম, রিও ফার্ডিনান্ড, এরিক ক্যান্টোনা ও ডুইক ইয়র্করা অলডারলে এজে বসবাস করেছেন। সেখানেই ছয় কামরার ম্যানশন কিনেছেন হলান্ড।

আরও পড়ুন

চেশায়ারের কিছু ছোট ছোট শহর ও গ্রামকে একসঙ্গে ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’ বলা যায়, যা ‘ফুটবলার বেল্ট’ নামেও পরিচিত। যে এলাকায় তারকা ফুটবলার, বিনোদনজগতের তারকা এবং ব্যবসায়ীরা বিলাসবহুল বাড়ি কিনে বসবাস করেন। লিভারপুল তারকা ট্রেন্ট–আলেক্সান্দার আর্নল্ড ও ভার্জিল ফন ডাইকের বাড়িও এ ট্রায়াঙ্গলেই। সেখান থেকে লিভারপুলের অনুশীলন কেন্দ্র কির্কবাই গাড়িতে ৫০ মিনিটের পথ।

চেশায়ারে হলান্ডের বাড়ি খোঁজার এই ছবি এর আগে প্রকাশ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
ইনস্টাগ্রাম

হলান্ডের ইংল্যান্ডে বাড়ি কেনা সিটির সমর্থকদের জন্য অবশ্যই আশাব্যঞ্জক খবর। গত নভেম্বর থেকেই গুঞ্জন চলছে, তাঁকে আরও পাঁচ বছরের জন্য ধরে রাখতে চায় সিটি। সে জন্য নতুন চুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। বোনাস বাদে এই নতুন চুক্তির গোটা প্যাকেজের মূল্য হতে পারে ১০ কোটি পাউন্ড।

বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ২০২২ সালে সিটিতে যোগ দেন হলান্ড। ক্লাবটির হয়ে ১২৫ ম্যাচে ১১১ গোল করে ইতমধ্যে ইউরোপের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। হলান্ডের প্রথম মৌসুমেই ‘ট্রেবল’ জিতেছে সিটি, গত মৌসুমে ধরে রাখে প্রিমিয়ার লিগের মুকুটও। প্রিমিয়ার লিগে আগের দুই মৌসুমেই গোল্ডেন বুট জেতা হলান্ড এ মৌসুমে লিগে ২০ ম্যাচে করেছেন ১৬ গোল।

আরও পড়ুন