তারুণ্যের লড়াইয়ে বেলিংহামের উত্তরসূরি কি ইয়ামাল
ফুটবলে তরুণদের উত্থানের পথরেখা বুঝতে চোখ রাখা হয় ‘গোল্ডেন বয়’ পুরস্কারে। ইতালীয় সংবাদপত্র তুত্তোস্পোর্ত প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। এবারও পুরস্কারের জন্য সম্ভাব্য ২৫ জনের নাম ঘোষণা করেছে তারা, যেখান থেকে শেষ পর্যন্ত বেছে নেওয়া হবে একজনকে। গত বছর এ পুরস্কার জিতেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম। এবার তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে কার হাতে পুরস্কার উঠবে, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
১৮ অক্টোবর তালিকা ঘোষণার পর থেকেই চলছে নানা আলোচনা। কে হতে পারেন এবারের সেরা তরুণ? ২৮ অক্টোবর প্যারিসে ঘোষণা করা হবে বিজয়ীর নাম। ফুটবলপ্রেমীরা অবশ্য সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে নারাজ, নিজেরাই বেছে নিচ্ছেন পছন্দের বিজয়ীকে।
মনোনীত ২৫ জনের তালিকায় অবশ্য সবচেয়ে বেশি দাপট দেখা গেছে প্রিমিয়ার লিগের। বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ লিগ থেকে তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ৭ ফুটবলার। এ ছাড়া অন্য লিগগুলোর মধ্যে লা লিগা থেকে ৫ জন, লিগ আঁ থেকে ৪ জন এবং বুন্দেসলিগা থেকে ৩ জন ফুটবলার জায়গা পেয়েছেন। আর ক্লাব হিসেবে সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও পিএসজি থেকে। এ দুই ক্লাব থেকে জায়গা পেয়েছেন ৩ জন করে ফুটবলার।
তালিকাটা ২৫ জনের হলেও শেষ পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে লড়াইটা নেমে আসতে পারে কয়েকজনের মধ্যে, যেখানে লামিনে ইয়ামাল, এনদ্রিক, আলেহান্দ্রো গারনাচো এবং কোভি মাইনুরা আছেন আলোচনার শীর্ষে। গত মৌসুমের পারফরম্যান্স ও প্রভাব বিবেচনা করলেও এই নামগুলোই বিশেষভাবে সামনে আসে। অনেকে অবশ্য বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই বেছে নিচ্ছেন ইয়ামালকে। এর পেছনে যথেষ্ট যুক্তিও আছে।
অভিষেকের পর থেকে একের পর এক রেকর্ড ভাঙা ইয়ামালের সবচেয়ে বড় অর্জন স্পেনের হয়ে ইউরো জয়। এ ছাড়া বার্সার হয়ে যখনই মাঠে নেমেছেন আলো ছড়িয়েছেন এখনো কৈশোরের বৃত্তে থাকা এই উইঙ্গার। এরই মধ্যে অনেকে তাঁকে লিওনেল মেসি ও ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গেও তুলনা করছেন।
গত মৌসুমে ইয়ামালের পরিসংখ্যানও বেশ উজ্জ্বল ছিল। ৫০ ম্যাচ খেলে ৭ গোলের পাশাপাশি সহায়তা করেছেন ৯ গোলে। তবে পরিসংখ্যান ছাড়াও বিভিন্ন ম্যাচে তাঁর প্রভাব ছিল অসামান্য। ইয়ামালের পারফরম্যান্সের সূত্র ধরেই হয়তো ট্রান্সফারমার্কেট সম্ভাব্য পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে তাঁর কথা বলেছে। সেটি হলে সর্বকনিষ্ঠ পুরস্কার বিজয়ীও হবেন ইয়ামাল।
এর আগে ২০২২ সালে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছিলেন ইয়ামালের স্পেন ও বার্সা সতীর্থ গাভি। তবে এবার গাভিকে ছাড়িয়ে ইয়ামালের জন্য সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে।