টটেনহামকে ধন্যবাদ দিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জে মেসির লিগে লরিস
২০১২ সালে লিওঁ থেকে টটেনহামে আসেন উগো লরিস। এরপর ধীরে ধীরে ক্লাবটির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেন এই ফরাসি গোলরক্ষক। স্পার্সদের হয়ে ১১ বছরে ৪৪৭টি ম্যাচ খেলেছেন লরিস। তবে গত এপ্রিলের পর থেকে আর মাঠে নামা হয়নি তাঁর। ২৩ এপ্রিল নিউক্যাসলের বিপক্ষে ৬-১ গোলে হারা ম্যাচে প্রথমার্ধ শেষে বদলি করা হয় লরিসকে, সেটিই ছিল টটেনহামের জার্সিতে লরিসের শেষ ম্যাচ। জুলাইয়ে লরিসের প্রাক্–মৌসুমে সফরে না থাকা এবং নতুন ক্লাব সন্ধানের কথাও জানায় টটেনহাম কর্তৃপক্ষ।
এরপর ১২ আগস্ট লরিসের জায়গায় অধিনায়ক ঘোষণা করা হয় সন হিউং-মিনকে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার টটেনহাম ছেড়ে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব দ্য লস অ্যাঞ্জেলেস ফুটবল ক্লাবে যোগ দিলেন লরিস। এক বছরের জন্য চুক্তি হলেও পরবর্তীকালে তা দুই বছর বাড়ানোর সুযোগও রাখা হয়েছে।
এক ভিডিও বার্তায় টটেনহাম ছাড়ার ঘোষণায় লরিস বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই আপনারা যেভাবে আমাকে সমর্থন দিয়েছেন, সে জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের একজন হতে পারা এবং অধিনায়কদের একজন হওয়া দারুণ সম্মানের ব্যাপার ছিল। এটা একটা অধ্যায়ের সমাপ্তি। কিন্তু আপনারা সব সময় আমার হৃদয়ে থেকে যাবেন। স্পার্স সব সময় আমার নিজের ও পরিবারের জন্য বিশেষ কিছু হয়ে থাকবে। যেসব স্মৃতি আমরা ভাগাভাগি করেছি, সেসবের জন্য ধন্যবাদ। সবার জন্য শুভকামনা।’
বিশ্বকাপজয়ী লরিসের আগমনের ঘোষণায় লস অ্যাঞ্জেলেসের জেনারেল ম্যানেজার জন থোরিংটন এক বিবৃতিতে জানান, ‘উগো (লরিস) তার প্রজন্মের সবচেয়ে সফল গোলরক্ষকদের একজন এবং একজন বিজয়ী হিসেবে সে নিজেকে প্রমাণও করেছে। উগো নিজের পরবর্তী অধ্যায় হিসেবে এলএএফসিকে বেছে নেওয়ায় আমরা দারুণভাবে রোমাঞ্চিত। শীর্ষ স্তরের ফুটবলে নেতৃত্বের নজিরবিহীন অভিজ্ঞতা নিয়ে সে এখানে আসবে। যা আমরা জানি যে আমাদের ক্লাবকে আরও ট্রফি জেতার ব্যাপারে দারুণভাবে সহযোগিতা করবে।’
টটেনহামের হয়ে ১৫১ ম্যাচে গোলবার অক্ষত রাখা লরিস ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জিতলেও স্পার্সদের হয়ে কোনো শিরোপা জিততে পারেননি। ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগে ফাইনাল খেলে রানার্সআপ হওয়াই তাঁর সর্বোচ্চ অর্জন। সেই ফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে যায় লরিসের টটেনহাম।