সরে দাঁড়ালেন তরফদার, নির্বাচিত হওয়ার পথে ইমরুল

তরফদার রুহুল আমিনফেসবুক

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনটা ছিল নাটকীয়। সিনিয়র সহসভাপতি পদপ্রার্থী তরফদার রুহুল আমিন আজ নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন সিনিয়র সহসভাপতি পদে মো. ইমরুল হাসান একক প্রার্থী হওয়ায় তাঁর নির্বাচিত হওয়া সময়ের ব্যাপার।

বিদায়ী সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন এবার নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলে তরফদার রুহুল আমিন প্রথমে সভাপতি পদে দাঁড়ানোর ইচ্ছা জানিয়েছিলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে বেশ ঘটা করেই তিনি সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে পরে সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা না দিয়ে তিনি সিনিয়র সহসভাপতি পদে জমা দেন। এই পদে বিদায়ী কমিটির সহসভাপতি ইমরুল হাসানের সঙ্গে তাঁর জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু আজ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন তিনি সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকেও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেন।

তরফদার রুহুল আমিন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। যে ভুলটি আবেদনপত্রে ছিল (নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন না করে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বরাবর করা) সেটি করণিক ভুল। আমরা তাঁকে সেই ভুল শোধরানোর সময় দিয়েছি। তিনি ভুল শুধরে নতুন করে আবেদনপত্র পাঠালে সেটি গৃহীত হয়েছে।
বাফুফের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহউদ্দিন
বাফুফের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহউদ্দিন
প্রথম আলো

তরফদার রুহুল আমিনের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন নিয়েই নাটকীয়তা তৈরি হয়। আজ বেলা দুইটা পর্যন্ত প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করার সুযোগ ছিল। বেলা দুইটার একটু আগে প্রতিনিধির মাধ্যমে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদনপত্র পাঠিয়ে দেন তরফদার। তবে তিনি আবেদনপত্রটি নির্বাচন কমিশন বরাবর না পাঠিয়ে পাঠান বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বরাবর। নিয়মানুযায়ী, আবেদনপত্র না পাঠানোয় তাঁর আবেদন গৃহীত হবে কি না, এ নিয়ে বিতর্কও উঠেছিল। তবে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহউদ্দিন জানান, ‘তরফদার রুহুল আমিন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। যে ভুলটি আবেদনপত্রে ছিল (নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন না করে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বরাবর করা) সেটি করণিক ভুল। আমরা তাঁকে সেই ভুল শোধরানোর সময় দিয়েছি। তিনি ভুল শুধরে নতুন করে আবেদনপত্র পাঠালে সেটি গৃহীত হয়েছে।’

সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন তাবিথ আউয়াল এবং এ এফ এম মিজানুর রহমান চৌধুরী। ছয় সহসভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম, মো. ওয়াহিদউদ্দীন চৌধুরী (হ্যাপি), মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, মো. শফিকুল ইসলাম মানিক, সাব্বির আহম্মেদ আরেফ ও সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির।

সিনিয়র সহসভাপতি পদে এখন ইমরুল হাসানকে নির্বাচিত ঘোষণার ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘নির্বাচনের দিন কংগ্রেসের সামনে এটি উত্থাপন করা হবে। তখন সেখানেই তাঁকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।’

তাঁর প্রার্থিতা বাতিলের জন্য কেন সময় দেওয়া হলো, সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য, ‘উনি নির্ধারিত সময়েই আবেদন করেছেন। ছোটখাটো করণিক ভুল সংশোধনের সময় জাতীয় নির্বাচনেও দেওয়া হয়। তা ছাড়া আমরা আমাদের এখতিয়ারের মধ্য থেকেই তাঁকে ভুল শোধরানোর জন্য সময় দিয়েছি।’

বাফুফে নির্বাচনে গতকাল শনিবার সদস্য পদ থেকেও দুজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এ ছাড়া আজ সকালে বাফুফের বিদায়ী কমিটির নির্বাহী সদস্য মহিদুর রহমান মিরাজ নিজের সদস্য পদে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী, এবারের বাফুফে নির্বাচনে মোট প্রার্থী ৪৬ জন। ১৫ নির্বাহী সদস্যের বিপরীতে প্রার্থী ৩৭ জন। সহসভাপতির চার পদের বিপরীতে ৬ জন, সিনিয়র সহসভাপতি পদে ১ জন আর সভাপতি পদে ২ জন প্রার্থী। সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন তাবিথ আউয়াল এবং এ এফ এম মিজানুর রহমান চৌধুরী। ছয় সহসভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম, মো. ওয়াহিদউদ্দীন চৌধুরী (হ্যাপি), মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, মো. শফিকুল ইসলাম মানিক, সাব্বির আহম্মেদ আরেফ ও সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির।