ইংল্যান্ডের ক্ষুব্ধ সমর্থকদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি খেলোয়াড়দের পরিবারও
ইংল্যান্ড ফুটবল দল ইউরোর শেষ ষোলোয় উঠেছে বটে, তবে দলটির গ্রুপ পর্বের খেলায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি সমর্থকেরা। মঙ্গলবার স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের ম্যাচে মাঠেই এটাসেটা ছুড়ে মেরে এবং হইচই করে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এবার জানা গেল, গ্যালারিতে থাকা ফুটবলারদের পরিবারও ক্ষুব্ধ সমর্থকদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
ইংলিশ ডিফেন্ডার এজরি কনসা বলেছেন, স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর খেলোয়াড়দের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবরা গ্যালারির যে অংশে বসেছিলেন, সেদিকে তাক করে চারপাশ থেকে বিয়ারের কাপ ছুড়ে মারা হয়েছে। কোচ গ্যারেথ সাউথগেটও ক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন বলে উঠে এসেছে তাঁর কথায়।
নকআউটে জায়গা করা ইংল্যান্ড গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে গোল করেছে মাত্র দুটি, জিতেছে এক ম্যাচ। ফিফা র্যাংকিংয়ের ৫৭ নম্বরে থাকা স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে না এসেছে জয়, না কোনো গোল। ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা তাই হাতের কাছে প্লাস্টিকের কাপ, বোতল, যা পেয়েছেন সবই ছুড়ে মেরেছেন। কোচ সাউথগেট অবশ্য লক্ষ্যবস্তু হলেও পাল্টা করতালিতে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছেন। তবে খেলোয়াড়েরা বিষয়টি নিয়ে পরে তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি বলে জানান কনসা।
অ্যাস্টন ভিলায় খেলা ২৬ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার খেলোয়াড়দের বন্ধু–স্বজনদের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আমরা এটা জানতাম। আমাদের (খেলোয়াড়দের) পরিবারের কয়েক সদস্যের গায়ে কিছু ড্রিংকসের (বিয়ারের কাপ) আঘাত লেগেছে। আমরা খোঁজ নিয়েছি। পরিবারের সঙ্গে বাচ্চারাও তো ছিল। তাই সব সময়ই খোঁজ রাখতে হয়। জানতে হয়েছে তারা ঠিকঠাক আছে কি না।’
তবে সমর্থকদের এ ধরনের প্রতিক্রিয়া নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন বলে জানান কনসা। তাঁর মতে, ‘ফুটবলে এমন হতেই পারে।’ তবে কনসা এটাও বলেছেন, ‘আমার ভাই আঘাত পেয়েছে। অন্যদেরও লেগেছে। (ম্যাচ শেষে) তার সঙ্গে কথা বলেছি। সে বলেছে, ঠিক আছে। এটা (স্টেডিয়ামের) ডান দিকে হয়েছে, সরাসরি গোলপোস্টের পেছনে নয়। তবে এগুলো চারপাশ থেকেই আসছিল। এটা নিয়ে আমরা খুব বেশি না ভেবে সামনে এগোনোর চেষ্টা করছি।’
এর আগে ডেইলি মেইল জানিয়েছিল, যাঁরা বিয়ারের কাপ ছুড়ে মেরেছেন, তাঁরা খেলোয়াড়দের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবেরা তাঁদের চিনতে পারেননি। ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা যে ইচ্ছে করেই তাঁদের লক্ষ্য করে কাপ ছুড়ে মেরেছেন, ব্যাপারটি এমনও নয়।
৩ ম্যাচে ১ জয় ও ২ ড্রয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে ইউরোর শেষ ষোলোয় উঠেছে ইংল্যান্ড। রোববার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার ম্যাচে স্লোভাকিয়ার মুখোমুখি হবে সাউথগেটের দল।