বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সমর্থকদের মাঠে ঢোকা নিয়ে জটিলতায় প্রথমে ১৫ মিনিট দেরিতে ম্যাচ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পরে উয়েফা আবার বিবৃতিতে জানায়, ম্যাচ শুরু করতে আরও দেরি হবে। সর্বশেষ খবরে জানানো হয়েছিল, ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৩৬ মিনিটে!
অবশেষে সে সময়েই ম্যাচ শুরু হচ্ছে। দুই দলের খেলোয়াড়েরা এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন।
উয়েফার বিবৃতিতে প্রথমে সমর্থকদের মাঠে ঢোকায় দেরির কথা বলা হলেও পরে বিবৃতি বদলে লেখা হয়েছে, 'নিরাপত্তাজনিত কারণে' ম্যাচ শুরু হতে দেরি হবে।
যদিও ঠিক কত সময় পর এই ম্যাচ শুরু করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। এসবের মধ্যেই দুই দলের খেলোয়াড়েরা আবার মাঠে নেমে গা গরম করেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও হয়ে গেছে।
অবশেষে এখন খেলার জন্য দুই দলের খেলোয়াড়েরা মাঠে নেমেছেন।
ব্রিটিশ খেলাধুলাবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্যঅ্যাথলেটিক জানাচ্ছে, অনেক সমর্থক ম্যাচের দুই-আড়াই ঘন্টা আগে স্টেডিয়ামের ফটকে গেলেও এখনো স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারেননি। সমর্থকদের দিক থেকে আয়োজকদের অদক্ষতাকেই দায়ী করা হচ্ছে।
বিশেষ করে লিভারপুলের অনেক সমর্থক মাঠে ঢুকতে পারেননি। যদিও লিভারপুলের সমর্থকদের একটি অংশ জোর করে স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ এসেছে। \
অন্যদিকে লিভারপুলের সমর্থকদের অভিযোগ, পুলিশ অযথাই গেটে ঢোকার মুখে তল্লাশিতে দেরি করছে। ব্রিটিশ অনেক সাংবাদিক জানাচ্ছেন, অনেক গেট বন্ধ আছে বলে অভিযোগ। সে ক্ষেত্রে বিকল্প পথের দিকনির্দেশনাও দেওয়া নেই। সাংবাদিকদেরও অনেকে টুইটে জানাচ্ছেন, এক-দুই ঘন্টারও বেশি সময় অপেক্ষার পর ঢুকতে পেরেছেন তাঁরা।
এরই মধ্যে সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতন্ডার মধ্যে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে বলেও খবর আসছে।
লিভারপুলের প্রেস অফিসার অ্যান্ডি কেলি টুইটে লিখেছেন, 'খুবই বাজে অভিজ্ঞতা। খুব বিপদজনকও। একটা সভ্য সমাজে সমর্থকদের সঙ্গে এমন আচরণ করা উচিত হচ্ছে না। অগ্রহণযোগ্য।'
লিভারপুল কিংবদন্তি স্যার কেনি ডালগ্লিশের টুইট, 'সবাই নিরাপদ থাকুন, যদি জানতে পারেন যে আপনার পরিচিত কেউ বাইরে আছে, তাহলে জানিয়ে দিন, তাঁদের হাতে স্টেডিয়ামে ঢোকার যথেষ্ট সময় আছে।'