‘এখনো ধানমন্ডি মিস করি। এখনো মিস করি আবাহনীর জার্সি।’ ম্যাচ শেষে যখন কথাগুলো বলছিলেন, ফ্লাডলাইটের আলোয় আউডু ইব্রাহিমের চোখের কোণে চিকচিক করছিল বেদনার জল। অবশ্য খানিক পরেই তিনি পুরো পেশাদার, ‘আবাহনীর জন্য আমার মনে ভালোবাসা আছে সব সময়। সেটি থাকবেও চিরদিন। কিন্তু দিন শেষে আমি একজন পেশাদার ফুটবলার।’
গত আট মৌসুম টানা আবাহনীতে খেলেছেন। আবাহনীর ঘরের ছেলেই হয়ে উঠেছিলেন আউডু ইব্রাহিম। কিন্তু ‘বুড়িয়ে’ গেছেন বলে আবাহনী এবার চুক্তি করেনি ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ডের সঙ্গে। এবার ইব্রাহিমের ঠিকানা হয়েছে ব্রাদার্স। কিন্তু সেই বুড়ো ইব্রাহিমই কাল জ্বলে উঠলেন স্বাধীনতা কাপে। একটি গোল করেছেন, করিয়েছেন একটি। ইব্রাহিমের সঙ্গে জ্বলে উঠেছেন জাতীয় অনূর্ধ্ব-২৩ দলের স্ট্রাইকার মান্নাফ রাব্বি। দুই ফরোয়ার্ডের মেলবন্ধনে মোহামেডানকে ৩-২ গোলে হারাল ব্রাদার্স। গোপীবাগের দলটির জয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিল মোহামেডান। ৫ ম্যাচে ২ জয় ও ৩ হারে ৬ পয়েন্ট করে পেয়েছে দুটি দলই।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অন্য চেহারায় ব্রাদার্স। ৫১ মিনিটে ইব্রাহিমের ক্রসে মান্নাফ রাব্বির হেড এগিয়ে দেয় (১-০) কমলা দলকে। ৫৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাব্বি। মোহামেডান অবশ্য পরের মিনিটেই ঘুরে দাঁড়ায়, তৌহিদুল আলম সবুজের গোলে স্কোর ২-১। ৬৫ মিনিটে বিপলুর গোলে (২-২) তো জয়ের স্বপ্নই দেখতে শুরু করে সাদা-কালোরা। কিন্তু ৭৫ মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে গোল করে ইব্রাহিম সেই স্বপ্ন ধূসর করে দেন।
মোহামেডানের সঙ্গে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাদার্সও। কিন্তু ইব্রাহিম লিগে ভালো করতে চান, ‘অনেক দিন ধরে আবাহনীতে খেলার পর নতুন একটা দলে গিয়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে একটু কষ্ট হয় বটে। অবশ্য রাব্বির সঙ্গে আমার বোঝাপড়াটা গড়ে উঠছে। টুর্নামেন্টে আমাদের আশা শেষ। কিন্তু লিগে নিজের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।’
আজকের খেলা
শেখ জামাল-চট্টগ্রাম আবাহনী
(বিকেল ৫-৩০ মি., বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম)