মাঠে নামলেন ফুটবলার মান্নাফ রাব্বি
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন আর সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। নিজে যেমন সচেতন থাকছেন, তেমনি প্রতিবেশীদেরও স্বাস্থ্য সচেতন করতে উদ্যোগী হয়েছেন জাতীয় দলের ফুটবলার মান্নাফ রাব্বি। যশোরের চূড়ামনকাঠিতে নিজের এলাকার রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে আজ সারা দিন ব্যস্ত ছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর মিডফিল্ডার। মুখে মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস পরে এলাকার প্রতিটি গলি, বাড়ির আনাচকানাচে ছিটিয়েছেন জীবাণুনাশক স্প্রে। শুধু তাই নয়, এলাকার দুস্থ, অসহায় নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের খাবারের ব্যবস্থাও করেছেন।
প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ থাকার কারণে যশোরে ফিরে গেছেন মান্নাফ রাব্বি। চূড়ামনকাঠিতে কোনো ব্যক্তি যাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে না পারে এ জন্য রাস্তা-ঘাট জীবাণুমুক্ত করার উদ্যোগ নেন তিনি। আর রাব্বির এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে এলাকাবাসী। মাঠের বাইরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও জিততে চান রাব্বি, ‘আমার এই উদ্যোগ সবাই খুব ভালোভাবে নিয়েছে। যে বাসায় গেছি, সবাই খুশি হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমার কাছ থেকে অনেকে ব্লিচিং পাউডার ও জীবাণুনাশক স্প্রে নিয়ে যাচ্ছে। আমার এই কর্মসূচি নিয়মিত ধরে রাখব।’
করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দী হয়েই সময় কাটাতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। এমন পরিস্থিতিতে বেশি সমস্যায় পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী লোকজন। এদের বিপদে এগিয়ে এসেছেন রাব্বি। নিজে হাতে কাউকে কিছু দিচ্ছেন না। তবে এলাকার একটি মুদিখানার দোকানদারকে নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন। সেখানে রাব্বির মায়ের হাতের লেখা একটি বিশেষ কার্ড দিলেই মিলছে চাল, ডাল ও তেল। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই এমন ব্যবস্থা জানালেন রাব্বি, ‘আমি মাকে বলে দিয়েছি। যারা সত্যিকার অর্থেই এলাকার দরিদ্র মানুষ তাদের মা চেনেন ভালোমতো। ওরা এসে মায়ের কাছ থেকে কার্ড নিয়ে দোকানে গেলেই চাল, ডাল পাচ্ছে।’
এরই মধ্যে রাব্বির কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকার আরও অনেক ফুটবলার নিম্নবিত্ত লোকদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন, ‘যশোরের অনেক ফুটবলারের সঙ্গেই আমার কথা হয়েছে। আমি ৫০-৬০ জনকে সাহায্য করছি। এভাবে অনেকেই নিজেদের এলাকার ৫০ জনকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এভাবে সবাই যদি এগিয়ে আসে তাহলে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এক সময় আমরা জয়ী হবই।’