বার্সায় মেসি-নেইমারের বন্ধুত্ব যেভাবে শুরু
>বার্সায় নেইমারের থিতু হয়ে খেলার নেপথ্যে রয়েছে মেসির অবদান। ২০১৩ সালে বার্সায় অভিষেক ঘটেছিল ২৬ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ডের। তখন শুরুর দিকে বেশ চাপে ছিলেন নেইমার। ভালো খেলতে পারছিলেন না। এমন একটি ম্যাচের প্রথমার্ধে বাজে খেলার পর বিরতির সময় নেইমার প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলেন। মেসি ঠিক তখনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
গত বছর দলবদলে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে নেইমার যোগ দেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে। তার আগে বার্সেলোনায় ছিলেন চার বছর। নু ক্যাম্পের সেই চার বছরই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উজ্জ্বল সময়। তবে বার্সায় শুরুর দিকে নেইমার বেশ চাপে ছিলেন। এই চাপ কাটিয়ে তাঁকে নিজের খেলাটা খেলতে প্রেরণা জুগিয়েছিলেন কে?
কে আবার, লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন এ ফরোয়ার্ডের সঙ্গে বার্সায় সেই চার বছরে নেইমার শুধু ভালো খেলাই উপহার দেননি, বরং বন্ধুত্বও গড়েছেন। অথচ নেইমার বার্সায় যোগ দেওয়ার সময় অনেকেরই প্রশ্ন ছিল, বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই তারকা এক ক্লাবে একসঙ্গে মিলেমিশে খেলবেন কীভাবে? কিন্তু ঘটেছে ঠিক তার উল্টো। এমনকি নেইমার বার্সা ছাড়ার পরেও অটুট দুজনের বন্ধুত্ব।
ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম ‘গ্লোবো’-র টিভি অনুষ্ঠান ‘আলতাস হোরাস’-এ নেইমার যেন সেই বন্ধুত্বের প্রতি আরও একবার নিজের শ্রদ্ধা প্রকাশ করলেন। বার্সায় তাঁর থিতু হয়ে খেলার নেপথ্যে রয়েছে মেসির অবদান। ২০১৩ সালে বার্সায় অভিষেক ঘটেছিল ২৬ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ডের। তখন শুরুর দিকে বেশ চাপে ছিলেন নেইমার। ভালো খেলতে পারছিলেন না। এমন একটি ম্যাচের প্রথমার্ধে বাজে খেলার পর বিরতির সময় নেইমার প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলেন। মেসি ঠিক তখনই বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত।
নেইমার সেই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘সে (মেসি) দেখেছে আমার চোখ টলমল। কারণ, প্রথমার্ধে ভালো খেলতে পারিনি। তখন সে আমাকে বলল, নিজের খেলাটা খেলো। নিজের ওপর কাউকে চড়ে বসতে দিয়ো না।’ এতটুকু আলাপের পর থেকেই নেইমার নিজের ছন্দ ফিরে পেয়েছিলেন। বার্সায় এরপর তাঁকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মেসির সঙ্গে নেইমারের বন্ধুত্বটাও শুরু হয়েছিল তখন থেকে। এ নিয়ে পিএসজি ফরোয়ার্ডের ভাষ্য, ‘সেই আলাপটুকুর পর নিজের ছন্দ ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই এবং গভীর বন্ধুত্বেরও (মেসির সঙ্গে) শুরু হয়।’
পায়ের অস্ত্রোপচারের পর নেইমার এখন পুনর্বাসন–প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন। বিশ্বকাপের আগেই সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদী নেইমার নিজেই। এর আগে জানিয়েছিলেন, তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া দ্রুত ও ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।