লিভারপুল ৩-৩ বেনফিকা
(ইবরাহিমা কোনাতে ২১', রবার্তো ফিরমিনো ৫৫', ৬৫') (গনকালো রামোস ৩২', রোমান ইয়ারেমচুক ৭৩', দারউইন নিউনেজ ৮১')
দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৪ ব্যবধানে সেমিফাইনালে লিভারপুল
নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়েই লড়ল বেনফিকা। তাও লাভ হলো না। লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে এসে ৩ গোল করার পরেও ড্র করতে হল ৩-৩ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে তাতে সম্মিলিত ফল দাঁড়াল ৬-৪ এ। আর এই ফলই নিশ্চিত করল, চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠছে লিভারপুল। আর বেনফিকাকে কোয়ার্টার থেকেই ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে।
প্রথম লেগে ৩-১ গোলে এগিয়ে ছিল লিভারপুল। দ্বিতীয় লেগের আগে স্কোরলাইন, ভেন্যু - সবকিছু নিজেদের পক্ষে আছে ভেবেই কি না, বেশ খর্বশক্তির একটা দল নামালেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। মোহাম্মদ সালাহ, সাদিও মানে, ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার-আরনল্ড, অ্যান্ডি রবার্টসন, ভার্জিল ফন ডাইক, ফাবিনিও, থিয়াগো আলকানতারাদের কেউই নামলেন না মূল একাদশের হয়ে।
তাতে আক্রমণভাগ বা মাঝমাঠের পারফরম্যান্সের কোনো রকমফের না হলেও, রক্ষণের শক্তি কমে গেল বহুগুণ। আর তাতেই তিন গোল দিয়ে বসল বেনফিকা।
শুরুতে অবশ্য লিভারপুলই এগিয়ে গিয়েছিল। বিকল্প লেফটব্যাক কসতাস সিমিকাসের কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে ২১ মিনিটেই লিভারপুলকে এগিয়ে দেন ফরাসি সেন্টারব্যাক কোনাতে। আগের লেগেও প্রথম গোলটা এই কোনাতেই করেছিলেন।
বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারল না লিভারপুল। মাঝমাঠে জেমস মিলনারের এক ভুল ট্যাকলের সুবাদে বল চলে যায় বেনফিকার মিডফিল্ডার গনকালো রামোসের পায়ে, পাশে থাকা ইবরাহিমা কোনাতে বুঝে ওঠার আগেই শট নিয়ে নেন রামোস, সমতায় ফেরে বেনফিকা।
দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করে লিভারপুলের সেমিতে ওঠা প্রায় নিশ্চিত করে দেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রবার্তো ফিরমিনো। প্রথমে দিওগো জোতার সহায়তায় গোল করেছেন, পরে সিমিকাসের ফ্রি-কিকে পা ছুঁইয়ে ব্যবধান ৩-১ করেছেন।
দুই লেগের সম্মিলিত ফলাফল ততক্ষণে ৬-২ দেখে কেউ যদি ভেবে থাকেন বেনফিকার মনোবল ভেঙে গেছে, ভুল! লিভারপুল সাধারণত রক্ষণভাগকে বেশ উপরে উঠিয়ে এনে খেলে থাকে, যাকে হাই লাইন ডিফেন্স বলা হয়। এই কৌশলে ভার্জিল ফন ডাইকের অবস্থান খুবই জরুরি। আজ ফন ডাইক ছিলেন না, লিভারপুলও শেষদিকে এসে এই কৌশলে রক্ষণ করতে পারেনি ভালোভাবে। যার ফায়দা লুটেছে বেনফিকা।
লিভারপুলের এগিয়ে থাকা রক্ষণের পেছনের জায়গাটা কাজে লাগিয়ে গোল পেয়েছেন ইউক্রেনের স্ট্রাইকার রোমান ইয়ারেমচুক ও উরুগুয়ের দারউইন নিউনেজ। ম্যাচ ড্র হয়েছে যে কারণে। ম্যাচ ড্র হলেও, দুই লেগ মিলিয়ে লিভারপুলই এগিয়ে থেকেছে ৬-৪ ব্যবধানে। আর সেটাই সেমিতে তুলেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলকে।
সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে আসা ভিয়ারিয়ালের মুখোমুখি হবে দলটা।