বিসিবি সভাপতি বললেন, দলে সমস্যা আছে
>কেন বাংলাদেশ এতটা খারাপ করল আফগানিস্তান সিরিজে? বিষয়টি ভাবাচ্ছে নাজমুল হাসানকে। আজ বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানালেন বিসিবির সভাপতি। সেখানে চলে এল সাকিবের নির্বাচন-প্রসঙ্গও।
বাংলাদেশ এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ হেরে গেছে। এখন ধবলধোলাইয়ের আশঙ্কা। বাংলাদেশ দলের এই বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে কী ভাবছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান, সেটি জানতে আজ তাঁর কাছে গিয়েছিলেন সংবাদকর্মীরা। বিসিবির সভাপতির প্রতিক্রিয়া শুধু আফগানিস্তান সিরিজেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। বাংলাদেশ দলের নতুন কোচ, মেয়েদের ক্রিকেট হয়ে সেটি ছুঁয়েছে সাকিব আল হাসানের নির্বাচন-প্রসঙ্গও।
কদিন আগে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের নির্বাচন করা-না করা নিয়ে নানা কথা হয়েছে। সাকিব যেহেতু খেলছেন, এই সিরিজের আগে হঠাৎ এ ধরনের আলোচনায় খেলার প্রতি তাঁর মনোযোগে কোনো বিঘ্ন ঘটেছে কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে। নাজমুল জানালেন, সাকিব আদৌ রাজনীতিতে আসবেন কি না বা নির্বাচন করবেন কি না, সেটি বলা কঠিন। তবে বিসিবির সভাপতি মনে করেন, এই মুহূর্তে সাকিবের রাজনীতিতে আসা কঠিনই, ‘এটা বলা মুশকিল। কিছু বিষয় আছে মানুষ এমনিই বুঝতে পারে। বলতে হয় না। আমি কী বললাম না বললাম, তাতে কিছু যায়-আসে না। আমি তাকে রাজনীতির বিষয়টা জিজ্ঞেস করেছিলাম। সে আমাকে বলেছিল, এ ব্যাপারে কিছু জানে না। তার সঙ্গে এ নিয়ে কারও কথা হয়নি। আবার হতেও পারে। বিস্তারিত কথা হয়নি এটা নিয়ে। তবে তার জন্য কঠিন (নির্বাচন করা)। হিসাবমতে, সে আরও তিন-চার বছর খেলবে জাতীয় দলে। সেদিক দিয়ে তার সম্ভাবনা খুবই কম (নির্বাচন করা)।’
আফগানিস্তানের কাছে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হেরে গেছে বাংলাদেশ। এখন ধবলধোলাইয়ের সামনে দাঁড়িয়ে সাকিবরা। দলের এই ব্যর্থতা নিয়ে কতটা চিন্তিত বিসিবি? নাজমুল হাসান বললেন, ‘আমার কাছে একটি হারই অনেক চিন্তার। সিরিজ হেরে গেছে তো হেরে গেছে! হারা উচিত নয়, এটাই হলো বড় কথা। হারলে আমরা কিছু বলি না। এর আগে কি আমরা কখনো হারিনি? কিন্তু এবারের হারের ধরন ভালো লাগেনি। তাদের পরিকল্পনা কিংবা প্রয়োগে যদি সমস্যা থাকে, সেটি অন্য বিষয়। তবে নিশ্চিত দলে কোনো সমস্যা আছে।’
সমস্যার সমাধানে আপাতত লম্বা সময়ের জন্য একটা প্রধান কোচ নিয়োগ ভীষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। সেই সমস্যার সমাধানে বিসিবিও নানা চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটিরই অংশ হিসেবে ইংলিশ কাউন্টি দল উস্টারশায়ারের সাবেক কোচ স্টিভ রোডস ঢাকায় আসছেন কাল। রোডসই কি তাহলে বাংলাদেশ দলের পরবর্তী কোচ? এই মুহূর্তে চূড়ান্ত কিছু বলতে পারছেন না বিসিবির সভাপতি, ‘কাল চুক্তির (রোডসের সঙ্গে) কোনো সম্ভাবনা দেখি না। আমরা তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করে দিয়েছিলাম। ও (কারস্টেন) সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছিল। তার তালিকায় আমাদের দুজন আছে। সেখানে রোডসের নামও আছে। যেহেতু নামটা অভিন্ন, রোডসকেই সবার আগে ডাকা হয়েছে। (চূড়ান্ত) হয়েও যেতে পারে। তবে এখনো তার সাক্ষাৎকার নিইনি। তার কাগজ দেখেছি। টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন অনেক আগেই ঠিক হয়ে আছে। এমন অনেকের সঙ্গেই কথা হয়ে আছে। সে (রোডস) কাল আসছে। আরও সাত-আটজনের সঙ্গে কথা হয়ে আছে। আশা করি, এক মাসের মধ্যে সবাই যোগ দেবে। হেড কোচ আমরা একটু আগে আনব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগেই চাচ্ছি হয়ে যাক।’