২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

স্কুল ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন রংপুর শিশু নিকেতন উচ্চবিদ্যালয়

জয়ের পর শিশু নিকেতন উচ্চবিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাসছবি: প্রথম আলো

খেলার ফল ততক্ষণে অনেকটাই নিশ্চিত। প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচের শিরোপা থেকে মাত্র ১ উইকেট দূরে রংপুর শিশু নিকেতন উচ্চবিদ্যালয়।

প্রতিপক্ষ মেহেরপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শেষ দুই ব্যাটসম্যান তখন ক্রিজে। একটা টপ এজ কিংবা বোল্ড—তখন এমন কিছুরই অপেক্ষায় শিশু নিকেতনের ডাগআউট। কিন্তু স্ট্রাইকে থাকা ইউসুফ আলী ইনিংসের ২২তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি মিড অনে ঠেলে দৌড়ে ১ রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যায়।

এরপর শিশু নিকেতনের উল্লাসে কেঁপে ওঠে নারায়ণগঞ্জের শামসুজ্জোহা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠ। ওদিকে মাঝমাঠেই মেহেরপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় দলের কয়েকজন ক্রিকেটার কান্নায় ভেঙে পড়ে।

খেলা শেষ হওয়ার অনেকক্ষণ পর্যন্ত দুই দলের দুই রকমের আবেগের এমন ছবিই বারবার সামনে আসছিল। শিরোপার ট্রফি হাতে শিশু নিকেতনের ক্রিকেটারদের বিজয়োল্লাসের সময়ও মলিন মুখে তাকিয়ে ছিল মেহেরপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ক্রিকেটাররা। স্কুল ক্রিকেটের ফাইনালের জমজমাট আয়োজনের সমাপ্তিটা হলো এভাবেই।

চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে রংপুর শিশু নিকেতন উচ্চবিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা
ছবি: প্রথম আলো

ফাইনালে আগে ব্যাট করা রংপুর শিশু নিকেতন মাত্র ১০২ রানে গুটিয়ে যায়। তবে এই রান নিয়েও জয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল দলটির। মেহেরপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যাটিংয়ের সময় সেটিই প্রতিফলিত হলো। মেহেরপুরকে মাত্র ৪৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৫৯ রানের সহজ জয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে রংপুর।

রংপুরের অধিনায়ক শাইখ ইমতিয়াজ দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। লেগ স্পিন বোলিং করে ১৪ রানে ৫ উইকেট শিকার করে সে। তবে রংপুরের শুরুটা ভালো হয় ডানহাতি পেসার সামিউল ইসলামের বোলিংয়ে।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই তার শিকার ২ উইকেট। ফাইনালে দুই দলের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ২৮ রান করেছে রংপুর শিশু নিকেতনের আহমেদ তেজান। এ ছাড়া একই স্কুলের শাদ করেছে ২৪ রান। মেহেরপুরের পক্ষে আরাফাত আমান নিয়েছিল ৪ উইকেট।

চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক শাইখের হাতেই উঠেছে ফাইনালের ম্যাচসেরার পুরস্কার। শুধু তা–ই নয়, ৩৩ উইকেট নিয়ে সে–ই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। সঙ্গে ২০০–এর কাছাকাছি রান করে টুর্নামেন্ট–সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছে শাইখ। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ৩৮৩ রান করা বাড্ডা আলাতুন্নেছা হাইস্কুলের মিশকাত মাহিন।

চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক শাইখের হাতেই উঠেছে ফাইনালের ম্যাচসেরার পুরস্কার। টুর্নামেন্ট–সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছে শাইখ
ছবি: প্রথম আলো

ফাইনাল ম্যাচটি মাঠে বসে দেখেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশার, সাবেক পেসার ও ইয়ুথ ক্রিকেটের নির্বাচক হাসিবুল হোসেন। এ ছাড়া বিসিবির মিডিয়া বিভাগের প্রধান তানভীর আহমেদ, আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতিখার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।