সৌম্যর ব্যাট কখনো ঢাল, কখনো তলোয়ার
বঙ্গবন্ধু টি–টোয়েন্টি কাপে কাল ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে লিটন দাস ছিলেন বিশ্রামে। টুর্নামেন্টে গাজি গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে ইনিংস ধরে রাখার দায়িত্বটা ছিল লিটনের। আরেক প্রান্তে সৌম্য সরকারের দায়িত্ব ছিল দ্রুত রান তোলা।
লিটন না থাকায় কাল একই সঙ্গে দুই দায়িত্ব পালন করতে হতো সৌম্যকে। দ্রুত রান তোলার পাশাপাশি সামলাতে হতো টপ অর্ডারে এক প্রান্ত ধরে রাখার দায়িত্ব। দুটি দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছেন চট্টগ্রামের এই বাঁহাতি ওপেনার।
সৌম্যর ৩৭ বলে ৬২ রানের ইনিংসে ৭ উইকেটে জিতেছে চট্টগ্রাম। সাতটি চার ও তিনটি ছয়ে সাজানো ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৬৭.৫৭। রাতের ম্যাচে শিশির সৌম্যর কাজটা কিছুটা সহজ করে দিয়েছে।
গতি তাঁর পছন্দ। উইকেট থেকে বরিশালের পেসারদের বলগুলো আরামেই সৌম্যর ব্যাটে আসছিল, যা কাজে লাগিয়ে সৌম্য খেলেছেন চোখধাঁধানো কিছু শট।
কামরুল হাসানের ফুল লেংথের বলে কাভারের ওপর দিয়ে মারা ছক্কা এর মধ্যে অন্যতম সেরা। কাল ম্যাচ শেষে সৌম্য বলছিলেন, ‘উইকেট প্রথম ইনিংসেও ভালোই ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির পড়াতে বল ব্যাটে আসছিল ভালো। স্কিড করছিল।’
টি-টোয়েন্টি ফর্মটা সৌম্যর ভালোই যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শেষ দুটি ইনিংসেই ভালো খেলেছেন। অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন দুটি ম্যাচেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুই ইনিংসে ২০ ও ৬২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন সৌম্য। কালও ম্যাচ শেষ করে আসার চেষ্টা ছিল সৌম্যর।
চট্টগ্রামের তখনো দরকার ৩১ রান। রানরেট বাড়ানোর তাড়া ছিল না একদম। হাতে ছিল ৩৯ বল। শুরুতে সৌম্যর আগ্রাসী ব্যাটিংই কাজটা সহজ করে দিয়েছিল। তিনিই পারতেন শেষটা করে আসতে। ব্যাটিংও করছিলেন ধীরেসুস্থে, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারলেন না। সুমন খানের স্লোয়ারে তামিম ইকবালকে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন সৌম্য।
দল জিতলেও আউট হওয়ায় কিছুটা হতাশ এই বাঁহাতি, ‘রান করলে তো সবারই ভালো লাগে। ইচ্ছা ছিল শেষ করে আসার। সেই পর্যায়ে ছিলাম, সেখান থেকে শেষ করতে পারলে ভালো লাগত।’
ম্যাচ শেষে দলে সুযোগ পাওয়া নতুনদের পারফরম্যান্সের প্রশংসাও করলেন চট্টগ্রামের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। দুই বোলার রুয়েল মিয়া ও মেহেদী হাসানের সঙ্গে মোসাদ্দেক হোসেনের বোলিংয়ের প্রশংসা করেন তিনি, নতুন যারা এসেছে তারাও ভালো করেছে। সৈকত আলী ওপেনে এসে ভালো করেছে। বোলাররাও ভালো করেছে। সৈকত ভালো বল করেছে।