সন্ত্রাসী হামলায় শোক কিউই তারকাদের
>দেশ সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্ত হয়েছে, বহির্বিশ্বের কাছে মাথা হেঁট হয়েছে কিউইদের। এ অবস্থায় কিউই তারকা চুপ থাকবেন, তা হয় না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করার মাধ্যম হিসেবে তাঁরা তাই বেছে নিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে।
শুধু ক্রিকেট অঙ্গন নয়, গোটা নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে গতকাল। ছবির মতো সাজানো গোছানো শান্ত শহর ক্রাইস্টচার্চে পড়েছে সন্ত্রাসীর কালো থাবা। থমকে গেছে কিউইদের জীবনযাত্রা। ঘটনার আকস্মিকতায় বিমূঢ় হয়ে পড়েছে সে দেশের লোকেরা। ক্রীড়াঙ্গনের তারকারাও এর ব্যতিক্রম নন।
ঘটনা আরও বাড়তি মাত্রা পেয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সংশ্লিষ্টতার কারণে। আর একটু এদিক-সেদিক হলে ক্রাইস্টচার্চের সে মসজিদে হতাহতের তালিকায় থাকত তামিম-মুশফিকদের নামও। ন্যক্কারজনক এই হামলার ফলে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ বাতিল হয়েছে, দেশে ফিরে আসছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট খেলার জন্য নিউজিল্যান্ড নিরাপদ নয়, ফলে আইসিসির কাছে নিজের দেশের সম্মান নিচে নামতে দেখছেন কিউই ক্রীড়াতারকারা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাই সোচ্চার হয়ে উঠেছে তাঁদের কণ্ঠস্বর। আর সেই ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে তাঁরা বেছে নিয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম যেমন টুইট করেছেন, ‘অনেক দিন থেকেই নানা ঘটনা দূর থেকে দেখে ভেবেছি, বিশ্বের এই কোণে আমরা একটু আলাদা, একটু নিরাপদ। আজকের দিনটা ভয়াবহ। ভীতিকর এবং দুঃখজনক।’ নিউজিল্যান্ড রাগবির মুসলিম তারকা খেলোয়াড় সনি বিল উইলিয়ামস টুইটারে এক ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘খবরটা শুনে ভাষাহীন হয়ে পড়েছি। শুনেছি প্রায় ৩০ জনের মতো নিহত হয়েছে। হতাহতের পরিবারের প্রতি দোয়া রইল। ইনশা আল্লাহ তোমরা সবাই স্বর্গে থাকবে এবং খুব দুঃখ লাগছে যে এটি নিউজিল্যান্ডে ঘটল।’
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম লিখেছেন, ‘আমাদের দেশের ইতিহাসের অন্যতম কালো দিন আজ। আমার দেশের মানুষ ও মুসলিম ভাই-বোনদের প্রতি আমি আমার সহমর্মিতা জানাই।’ সমবেদনা ঝরেছে পেসার মিচেল ম্যাকলেনাহানের কণ্ঠ থেকেও, ‘যতই পড়ছি, ততই কান্না পাচ্ছে। আমার ঘৃণায় বমি চলে আসছে। আমার দেশের সব মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা।’ জনপ্রিয় কিউই ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসন জানিয়েছেন, ‘ভয়াল দিন একটা। ঈশ্বর মৃতদের আত্মার শান্তি দিন।’