মাহমুদউল্লাহর জন্য জয় চেয়েছিল বাংলাদেশ

মাহমুদউল্লাহফাইল ছবি: প্রথম আলো

মাহমুদউল্লাহ টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন। তবে সে অবসরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটাই ঠিক এল না এখনো। পঞ্চম দিন তিনি মাঠে নেমেছিলেন সতীর্থদের দেওয়া গার্ড অব অনারের মাঝে। মাহমুদউল্লাহর টেস্ট ক্রিকেটের এটিই শেষ দিন—সেটিও বোঝা গেল তাতেই।

বড় জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এলেন তিনি, ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার এই পুরস্কার পেলেন। তবে সেখানে অবসর সংক্রান্ত কোনো কথাই বললেন না।

মাহমুদউল্লাহ।
ছবি: টুইটার

এরপর হারারেতে সিরিজ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের সামনে এলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। মাহমুদউল্লাহর অবসরের ব্যাপারে বললেন, এটা মাহমুদউল্লাহর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, এ কারণে এ ব্যাপারে কিছু বলাটা তাঁর জন্য কঠিন। তবে এটাও বললেন, মাহমুদউল্লাহর শেষটা যাতে জয় দিয়ে হয়, সেটি চেয়েছিলেন তারা।

২০০৯ সালে মাহমুদউল্লাহর অভিষেক টেস্টেই জিতেছিল বাংলাদেশ। শুরুর মতো শেষটাও যাতে অমন রাঙানো হয়, মুমিনুলরা চেয়েছিলেন সেটিই, ‘আমরা চেষ্টা করছি ওনার ম্যাচটা যাতে ওই ভাবে (জয় দিয়ে) শেষ হয়, ওনার জন্য সেটা উৎসর্গ করা যায়। ওনার অভিষেক ম্যাচটাও জিতেছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটাও জিতলে ভালো হয়।’

মুমিনুল হক।
ফাইল ছবি: এএফপি

বাংলাদেশ অবশ্য শেষ পর্যন্ত জিতেছে ২২০ রানের বড় ব্যবধানেই। জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া মাহমুদউল্লাহর ইনিংসের অবদানের কথাও বলেছেন মুমিনুল, ‘(মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ ভাই যে ইনিংসটা খেলেছে, সেটা অসাধারণ। আমি যদি বলি, লিটন আর তাঁর জুটিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১৬০ (১৩২) রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর একটা জুটি খুবই দরকার ছিল। এরপর তাসকিনের ৭৫ রানের ইনিংসটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই টেস্ট জয়ের জন্য।’

হারারে টেস্টের তৃতীয় দিনই ড্রেসিংরুমে অবসরের কথা বলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা আসেনি।

বাংলাদেশ দল।
ছবি: টুইটার

সেদিন ড্রেসিংরুমে তাঁর অনুভূতি নিয়ে মুমিনুল বলেছেন, খারাপ লাগাটাই ‘স্বাভাবিক’, ‘দেখেন আমি তো বললাম, এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করাই কঠিন। ... অবশ্যই তরুণ অধিনায়ক হিসেবে আমার খারাপ লাগার কথা, যদি খারাপ না লাগে সেটা অবশ্যই অস্বাভাবিক একটা জিনিস।’

অবশ্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে যা হলো, সেটিও তো ঠিক ‘স্বাভাবিক’ নয়!