মানকাড আইন জরুরি, তার চেয়ে জরুরি ক্রিকেটীয় চেতনা
আইপিএলে ‘মানকাড’ আউট করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন রবিচন্দ্র অশ্বিন। মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব এভাবে আউটের আইন কেন গুরুত্বপূর্ণ তার পক্ষে এর আগে ব্যাখ্যা দিয়েছিল। তাদের বক্তব্য যেন কেউ ভুল ব্যাখ্যা না করে, এ কারণে আবারও বিবৃতি দিয়েছে ক্রিকেটের আইন প্রণেতা সংস্থা
‘মানকাড’ আউট নিয়ে অতীতে যত আলোচনা হয়েছে, তার সবই ক্রিকেটীয় চেতনা ঘিরে। আউট নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, শুধু আলোচনা ওভাবে আউট করাটা ‘ভদ্রলোকের খেলা’ ক্রিকেটের সঙ্গে যায় কি না! আইপিএলে জস বাটলারকে মানকাড আউট করে একই আলোচনার জন্ম দিয়েছেন রবিচন্দ্র অশ্বিন। এ নিয়ে হইচই শুরু হলে নড়চড়ে বসে খেলাটির আইন প্রণেতা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। এভাবে আউটের আইনটি কেন গুরুত্বপূর্ণ, তার পক্ষে এর আগে ব্যাখ্যা দিয়েছিল এমসিসি। শুনে কারও মনে হতে পারে, এমসিসি হয়তো অশ্বিনের পক্ষে সাফাই গাইছে। সেই বিভ্রান্তি দূর করতে এবার এমসিসি বলছে, অশ্বিন যেভাবে মানকাড আউট করেছেন তা ক্রিকেটীয় চেতনার বিপক্ষে।
এমসিসির আইনসংক্রান্ত ব্যবস্থাপক ফ্রেজার স্টুয়ার্ট ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘টেলিগ্রাফ’কে বলেন, ‘ঘটনাটি আবারও খুব ভালোভাবে পর্যালোচনার পর আমরা মনে করি না এটি খেলার চেতনার পক্ষে ছিল। আমরা মনে করি অশ্বিন ক্রিজে পৌঁছানো থেকে বল ছাড়া পর্যন্ত সাধারণত যে সময়টা লাগে, তার চেয়ে বেশিক্ষণ থেমেছেন। বাটলার তখন মনে করতেই পারেন বল ছাড়া হয়ে গেছে। তবে এটাও অনৈতিক ও খেলার চেতনাবিরোধী যে নন-স্ট্রাইকারেরা আগেভাগে তাঁর জায়গা ছাড়বেন।’
সোমবার রাজস্থান রয়্যালস-কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্যাচে আলোচিত এই ঘটনার জন্ম দেন অশ্বিন। বিতর্কের মুখে এমসিসি বিবৃতি দেয়। যেহেতু আইনটা তাদের করা, এমসিসির বক্তব্য তাই গুরুত্বপূর্ণ। তখন এমসিসি এই আউটের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিল, ‘এ আইন খুব জরুরি। এ আইন না থাকলে নন-স্ট্রাইকার স্বাধীনতা পাবে, পিচে অনেক দূর এগিয়ে থাকবে। এমন কিছু আটকাতে অবশ্যই আইন দরকার। এখানে মূল বিষয় হলো নন-স্ট্রাইকার কখন নিশ্চিন্তে ক্রিজ ছাড়তে পারবে এবং বোলার কীভাবে বিতর্ক সৃষ্টি না করে এভাবে আউট করতে পারবে। পরিষ্কার করে বলতে গেলে এ আইনে কখনো বলা হয়নি নন-স্ট্রাইকারকে সতর্ক করতে হবে। এবং এটাও বলা হয়নি, একজন নন-স্ট্রাইকার ক্রিজ থেকে আগে বের হয়ে সুবিধা নিতে চাইলে তাকে আউট করা ক্রিকেটীয় চেতনার বিরোধী।’