‘বেবি মালিঙ্গা’কে দলে ডাকল শ্রীলঙ্কা

মাথিশা পাতিরানাছবি: বিসিসিআই

বাংলাদেশের সঙ্গে সিরিজ শেষে দেশে ফিরেই ব্যস্ত সময় কাটাবে শ্রীলঙ্কা দল। জুনের শুরুতে দেশটিতে যাবে অস্ট্রেলিয়া। তিন টি-টোয়েন্টি, পাঁচ ওয়ানডে ও দুটি টেস্টের দীর্ঘ সফর। এই সিরিজের জন্য বেশ বড়সড় প্রাথমিক দল ডেকেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন মাথিশা পাতিরানা। বোলিং অ্যাকশনে মিল থাকার কারণে যাঁকে ‘বেবি মালিঙ্গা’ বলে ডাকা হচ্ছে।

মাত্র দুটি পেশাদার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা পাতিরানাকে আইপিএলে দেখা কিছুটা হলেও বিস্ময়কর ছিল। লাসিথ মালিঙ্গার মতো স্লিঙ্গিং অ্যাকশন বলে আগেই নজরে এসেছিলেন। সে কারণেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা অনেক ক্রিকেটারের যেখানে জায়গা হয় না, সেখানে মাত্র ১৯ বছরের এই পেসার সুযোগ পেয়েছেন আইপিএলে। তাঁকে দলে ডেকেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। বিকল্প খেলোয়াড় থেকে একাদশেও জায়গা করে নিয়েছেন। দুই ম্যাচ খেলে পেয়েছেন দুই উইকেট। এবার তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ডাক পেয়ে গেছেন।

মাথিশা পাতিরানা
ছবি: বিসিসিআই

গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে আইপিএল অভিষেকে ২৪ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন পাতিরানা। গতকাল রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৩ ওভার ৪ বল করে ২৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। কিন্তু দুই ম্যাচ দেখেই চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির মনে হয়েছে, একে ঘিরে ভবিষ্যতের স্বপ্ন আঁকা যায়, ‘ডেথ ওভারের দারুণ বোলার সে। মালিঙ্গার কাছাকাছি। আর ওর অ্যাকশনে যা হয়, ভুল করার সুযোগ খুব বেশি ওর। স্লিঙ্গিং অ্যাকশনে ও খুব বেশি বাউন্স পায় না। ফলে, ও যদি লেংথে এক গজ ভুলও করে, তাহলেও কিন্তু সেটা ব্যাটের মাঝে লাগবে, এমন নয়। ওর বল খুব বেশি বাউন্স তো করবে না।’

শুধু অ্যাকশনই পাতিরানাকে আলাদা করে দিচ্ছে না; মালিঙ্গার মতো অন্য অস্ত্রও আছে তাঁর। ধোনির মতে, ‘ওর অ্যাকশনের কারণে ওকে বোঝা কঠিন। আর ওর হাতে স্লোয়ারও আছে। তাই খুব ভালোভাবে দেখতে হয়। এর মানে, ওকে দেখার জন্য বাড়তি কিছু সময় ব্যয় করলেন আর সে যেহেতু ভালো গতিতে বল করে, ওকে টানা মারা খুব কঠিন।’

মাথিশা পাতিরানা
ছবি: বিসিসিআই

সাবেক নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ডেনিয়েল ভেট্টোরির চোখে, মালিঙ্গার ‘এক্সট্রিম ভার্সন’ পাতিরানা। সাবেক বাঁহাতি স্পিনারের চোখে, এমন বোলার টি-টোয়েন্টি ম্যাচের রূপ বদলে দিতে পারেন, ‘আমার ধারণা, সে মালিঙ্গারও এক্সট্রিম ভার্সন। সে কিছুটা পেছনে যায় এবং মনেই হয় না সে লক্ষ্যের (ব্যাটসম্যান) দিকে তাকাচ্ছে। ওদিকে মালিঙ্গার ক্ষেত্রে মনে হতো, সে সব সময় তার লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে আছে। তবে ও (পাতিরানা) ব্যাটসম্যানদের চমকে দিচ্ছে। শুভমান গিল ও হার্দিক পান্ডিয়া বেশ ভালো মানের খেলোয়াড়।’ গুজরাটের বিপক্ষে ম্যাচে শুভমান আর হার্দিককেই আউট করেছিলেন পাতিরানা।

ভবিষ্যতে পাতিরানাকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে দলগুলোকে, এমনটাই ধারণা ভেট্টোরির, ‘চোখে যতটুকু অভ্যস্ত, সে সীমার সম্পূর্ণ ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে বল আসে, এটাই চমকে দেয় সবাইকে। ওর নিয়ন্ত্রণ বেশ ভালো এবং কিছু বৈচিত্র্য যোগ করলে ও এমন বোলার হবে, যে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তছনছ করে দেয়।’