২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের যে বিষয়টা 'গোপন' রাখতে চান ওয়ালশ

দলের একটি বিষয় ‘গোপন’ রাখতে চান ওয়ালশ। ছবি: বিসিবি
দলের একটি বিষয় ‘গোপন’ রাখতে চান ওয়ালশ। ছবি: বিসিবি

ওভালের পাশে বৃত্তাকার ওই লোহার স্থাপনাটা কিসের? এ স্থাপনার সঙ্গে ওভালের সরাসরি কোনো যোগ নেই। স্থাপনাটার অবস্থান স্টেডিয়াম-লাগোয়া সড়কের ওপাশে। তবুও ওভাল দেখালে খাঁচার মতো দেখতে লোহার স্থাপনাটা দৃষ্টিসীমায় আসবেই। ওটার গায়ে বিয়ারের বিজ্ঞাপন দেখে একটা সময় হাবিবুল বাশারের মনে হতো এটি নির্মাণ করেছে কোনো বিয়ার কোম্পানি! পরে জেনেছেন এটা আসলে ‘ওভাল গ্যাস হোল্ডারে’র।

ওভাল গ্যাস হোল্ডার থেকে হঠাৎই দৃষ্টি আর আলোচনা ঘুরে গেল তামিম ইকবালের দিকে। নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করতে গিয়ে বাঁ হাতে ব্যথা পেয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরছেন বাংলাদেশ ওপেনার। তামিম চোট পাওয়ায় সাংবাদিকদের ভীষণ কৌতূহলী হয়ে উঠতে দেখে হাবিবুলের রসিকতা, ‘শেষ, বাংলাদেশ শেষ! তাড়াতাড়ি লিখে দেন।’ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ব্যাটিং ভরসা যখন চোট পান, সেটি নিয়ে উদ্বেগ-কৌতূহল তো থাকবেই। তামিম যে বাংলাদেশ দলের একজন এক্স-ফ্যাক্টর!

এ কথায় অবশ্য ‘মাইন্ড’ করতে পারেন সাকিব আল হাসান। ‘বড় মঞ্চের বড় খেলোয়াড় হয়েও আমি এক্স-ফ্যাক্টর নই?’—বাঁ হাতি অলরাউন্ডার যদি এ প্রশ্ন করেই বসেন, কী উত্তর দেবেন? রেকর্ড-পরিসংখ্যান বলে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় ‘গেম চেঞ্জার’ তিনি! আর লড়াকু চরিত্রের মুশফিকুর রহিম? স্ট্রোক খেলার ব্যাটসম্যান অনেকেই আছেন এ দলে, কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়ে তাঁর চেয়ে ভালো লড়তে পারেন কে! তাই যদি হয়, আইসিসির টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা (৩) মাহমুদউল্লাহকে এক্স-ফ্যাক্টর বলা যাবে না? চাপ যত বেশি, মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে তত হাসি—‘ক্রাইসিস ম্যান’ তাঁকে কি এমনি বলে! সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ; বাংলাদেশ দলের চার সিনিয়র খেলোয়াড়কেই এক্স-ফ্যাক্টর বলা যায়।

মোস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস অবশ্য মুচকি হাসবেন। এমনকি অভিমানভরা কণ্ঠে বলতেও পারেন, ‘যেদিন আমরা ভালো খেলি, এমন কটা ম্যাচ বাংলাদেশ হেরেছে?’ এ তরুণেরাও হতে পারেন এক্স-ফ্যাক্টর। কিন্তু দলের সবাই তো আর এক্স-ফ্যাক্টর হবেন না। হবেন একজনই—ইংল্যান্ডে দলে যেটি বিবেচনা করা হচ্ছে আর্চারকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে শাই হোপকে। এবার বাংলাদেশ দলে এক্স-ফ্যাক্টর হবেন কে?

এক সাংবাদিক এ প্রশ্নটাই করলেন পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশকে। কঠিন প্রশ্নের এক সরস উত্তর মিলল ক্যারিবীয় কিংবদন্তির কাছে, ‘ওটা তো আমাদের গোপন অস্ত্র। প্রতিপক্ষকে আমরা জানতে দিতে চাই না। জেনে গেলে ওকে টার্গেট করা শুরু করবে। আমরা কিছু খেলোয়াড় পেয়েছি যারা একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। এটি নির্ভর করছে নির্দিষ্ট দিন আর নির্দিষ্ট কন্ডিশনের ওপর।’
ওয়ালশ যেন বোঝাতে চাইলেন, ‘কিছু কথা থাক না গোপন!’ থাকুক গোপন। আর এক্স-ফ্যাক্টর যদি নাও থাকে সেটি নিয়েও ভাবনার কিছু নেই। ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে বাংলাদেশকে খেলতে হবে আসলে ‘দল’ হয়ে।