বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আইভরিয়ানদের একদিন
প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের চতুর্থ রাউন্ড শেষে ২৪ ম্যাচে ৫৭ গোলের ৪২টিই এসেছে বিদেশিদের পা থেকে। আজ শুরু হওয়া পঞ্চম রাউন্ডেও ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। বিদেশিদের জয়জয়কার। আজ দুই ম্যাচে গোল হয়েছে আটটি। এর মধ্যে ছয়টি গোলই এসেছে বিদেশি ফুটবলারদের পা থেকে। বাকি পাঁচটির মধ্যে দুটি এসেছে স্থানীয়দের পা থেকে। স্পষ্ট করে বললে দিনটি গেছে আইভরিকোস্টের। আট গোলের তিনটিই করেছেন আইভরিয়ানরা।
আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে এক গোলে পিছিয়ে পড়ে পাল্টা ৩ গোল দিয়ে উত্তর বারিধারার বিপক্ষে জয় পেয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। বারিধারার গোলটি স্থানীয় মোহাম্মদ সুজনের। রহমতগঞ্জের গোল ৩টি তাজিকিস্তানের দিলশাদ ভাসিভ, আইভরিকোস্টের ফরোয়ার্ড ক্রিস্ট রেমি ও স্থানীয় এনামুল ইসলামের। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচেও স্কোর একই ছিল। ৩-১ গোলের ব্যবধানে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব। এই ম্যাচের চারটি গোলই করেছেন বিদেশিরা। ব্রাদার্সের গোলটি কঙ্গোর সিও জুনাপিওর। রহমতগঞ্জের হয়ে জোড়া গোল করেছেন আইভরিকোস্টের স্ট্রাইকার বাল্লো ফামুসা। অন্য গোলটি করেছেন ল্যান্সিন তোরের।
লিগে আজ প্রথম জয় পেয়েছে রহমতগঞ্জ। তা–ও আবার পিছিয়ে পড়ে বড় ব্যবধানের জয়। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে দুর্দান্ত গোলে বারিধারাকে এগিয়ে নেন সুজন। প্রতি–আক্রমণে বল দখলে নিয়ে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোলটি করেন তিনি। স্থানীয় ফুটবলারদের পায়ে এমন সুন্দর গোল খুব কমই দেখা যায়। কিন্তু সুজন যেন মৌমাছির চাকে ঢিল মারলেন! এরপরই ৩ গোল হজম করতে হয় তাঁর দলকে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়েই ম্যাচে ফেরে রহমতগঞ্জ। গোলমুখ থেকে টোকা দিয়ে গোলটি করেন তাজিকিস্তানের ফরোয়ার্ড দিলশাদ। এরপর শুধুই ব্যবধান বাড়ানোর গল্প। দ্বিতীয়ার্ধে ১০ মিনিটের ব্যবধানে রহমতগঞ্জের নামের পাশে ৩ গোল। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে মাহমুদুল হাসানের কর্নারে দূরের পোস্ট থেকে হেড করে বল গোলমুখে রেখেছিলেন ডিফেন্ডার আলাদেন নাসের। সেখান থেকে হেডে বল জালে পাঠান ক্রিস্ট। ৭ মিনিট পরেই প্রতি–আক্রমণ থেকে ৩-১ করেন এনামুল। লিগে এটিই রহমতগঞ্জের প্রথম জয় ও বারিধারার তৃতীয় হার।
আগের ম্যাচে বারিধারাকে হারানো পুলিশ আজ তুলে নিয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়। আজ ৩-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাদার্সকে। ম্যাচের ১১ মিনিটেই বাল্লো ফামুসার গোলে এগিয়ে যায় পুলিশ। এম এস বাবলুর ক্রস থেকে টোকা দিয়ে গোলটি করেন ফামুসা। ২৩ মিনিটে ব্রাদার্সকে সমতায় ফেরান জুনাপিও। তবে ম্যাচে এগিয়ে থাকার খুশি নিয়েই বিরতিতে যায় পুলিশ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মুরোলিমঝন আখমেদভের কর্নার থেকে গোলটি করেন তোরে। ৭০ মিনিটে শেষ গোলটি ফামুসার। লিগে এটি ব্রাদার্সের চতুর্থ হার।