২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ফিফটি করলেই সেঞ্চুরি করেন ফাওয়াদ

সেঞ্চুরির পর ফাওয়াদ আলমছবি: এএফপি

টেস্ট ক্রিকেটে এখনো পর্যন্ত তিনটি ইনিংসে ৫০ পেরিয়েছেন ফাওয়াদ আলম। তিনবারই পঞ্চাশের ইনিংসকে পরিণত করেছেন সেঞ্চুরিতে। যার সবশেষটি করলেন আজ করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে।

তিনটি ফিফটি করে তিনটিতেই সেঞ্চুরি করা প্রথম পাকিস্তানি ক্রিকেটার হলেন ফাওয়াদ। তবে নিজের প্রথম ছয়টি ফিফটিকেই সেঞ্চুরিতে পরিণত করার বিশ্বরেকর্ডটা নিজের করে রেখেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্রেট জর্জ হ্যাডলি।

প্রথম দিন শেষে ধুঁকছিল পাকিস্তান। ২৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে নিজেদের বোলারদের কৃতিত্বটাকে হয়তো ম্লানই মনে হচ্ছিল তাদের কাছে। আবিদ আলী, ইমরান বাট আর অধিনায়ক বাবর আজম ফিরে যান, সঙ্গে নাইটওয়াচম্যান শাহিন শাহ আফ্রিদিও।

দ্বিতীয় দিন সকালে পাকিস্তানের ভাগ্যে কী আছে, এই যখন সবার চিন্তা, তখনই আজহার আলীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে গেলেন ফাওয়াদ আলম।

গত আগস্ট মাসে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফরে দীর্ঘ ১১ বছরের বিরতি দিয়ে জাতীয় দলে ফেরেন ফাওয়াদ। অভিষেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেও বাদ পড়ে যান তিন টেস্ট খেলেই।

পাকিস্তানের হয়ে দারুণ ব্যাট করেছেন ফাওয়াদ আলম
ছবি: এএফপি

চতুর্থ টেস্টটি খেলেন ১১ বছর বিরতি দিয়ে। ফিরেই বলার মতো কিছু করতে না পারলেও গত ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুইতে তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিটি। আজ করলেন দেশের মাটিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি।

আজহার আলী ফিরে যান ৫১ রান করেই। ফাওয়াদের সঙ্গে ৯৪ রানের জুটি হয় তাঁর।

১৫১ বল খেলে আজহারের ইনিংসটি যে হাহাকারের জন্ম দিয়েছিল, ফাওয়াদই সেটি দূর করে দেন। ফাহিম আশরাফের সঙ্গে গড়েন আরও একটি শতরানের জুটি।

প্রোটিয়া বোলারদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করে করে তুলে নেন সেঞ্চুরি। ফিরেছেন ৯ চার ও দুই ছক্কায় ২৪৩ বলে ১০৯ করে। ৮ উইকেটে ৩০৮ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানের লিড পেয়েছে স্বাগতিক দল। উইকেটে রয়েছেন হাসান আলী ও নোমান আলী।

৭৫ রানে এগিয়ে থেকে করাচি টেস্টে নিজেদের চালকের আসনেই দেখছে স্বাগতিকেরা। ফাহিম আশরাফ অপরাজিত ৫৪ রানে।

কাল প্রথম দিনের শেষ বিকেলে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের এলোমেলো করে দেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা আজ নিষ্প্রভই ছিলেন। কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি কিংবা স্পিনার কেশব মহারাজদের তেমন সুযোগই দেননি পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা।

২টি করে উইকেট নিয়েছেন রাবাদা, এনগিডি আর মহারাজ। ১ উইকেট আনরিখ নর্তিয়ে।