২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

প্রিন্সেস ডায়ানাকে ভোগানো রোগেই মোটা হয়ে যেতেন ফ্লিনটফ

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের একটা সময়ে বুলিমিয়া রোগে ভুগেছেন ফ্লিনটফ।
ছবি: টুইটার।

ক্যারিয়ারের একটা সময় হঠাৎ করেই মোটা হতে শুরু করেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। নিজের শরীরের এমন অবস্থা দেখে নিজেই ব্রিবত হতেন ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার। অনেকদিন গোপন রাখলেও ২০১৪ সালে প্রথম রোগটার কথা স্বীকার করেন ‘ফ্রেডি।’ বুলিমিয়া নামের এই রোগটা কখনো পুরোপুরি সেরে তো যায় না, সেটিকে কীভাবে সামলে চলেন, সেই কথাটাই আজ ফ্লিনটফ জানিয়েছেন বিবিসিকে দেওয়া একটা প্রামাণ্যচিত্রে।  

বুলিমিয়া রোগটা প্রয়াত ব্রিটিশ রাজবধু প্রিন্সেস ডায়ানার ছিল। কিশোরীদের মধ্যে এই রোগটি সাধারণত বেশি দেখা যায়, মহিলাদের মধ্যেও দেখা যায়। তবে পুরুষদেরও হতে পারে। ‘ইটিং ডিসঅর্ডার’ নিয়ে গবেষণা করা যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা এএনএডির গবেষণা, এই রোগে আক্রান্ত ১৫ শতাংশ রোগীই পুরুষ।

এই রোগে ভুগতে থাকা মানুষ সব সময় অতিরিক্ত খাবার খান। এরপর সেই খাবার বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে শরীর। কখনো রোগী খাবার খেয়ে বমি করেন। ওজন কমানোর ওষুধ খান। অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন। কখনো উপোস করেন। মোট কথা রোগী খাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। মুটিয়ে যাওয়া শরীর নিয়ে লজ্জাবোধ হয় অনেকের, যেমনটা ফ্লিনটফের হয়েছিল।

বুলিমিয়ার সঠিক কারণ এখনও চিকিৎসা বিজ্ঞানে অজানা। তবে জিনগত, পারিবারিক কারণ, শরীরের ওজন সম্পর্কে চিন্তা, শরীরের আকৃতি কম ও বিষণ্নতার কারণেও রোগটা হতে পারে।

অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ এই রোগ নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্রে কথা বলেছেন বিবিসির একটি অনুষ্ঠানে।
ছবি: টুইটার।

বুলিমিয়া রোগে ভোগার সময়টার বর্ণনা দিতে গিয়ে ফ্লিনটফ বলেন, ‘আমি একজন মোটা ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছিলাম। ভয়াবহ একটা ব্যাপার ছিল সেটা। ওই সময়টাতে খাওয়ার পরে অসুস্থ লাগত।’

‘বুলিমিয়ার সঙ্গে বসবাস’—এই শিরোনামের প্রামাণ্যচিত্রে ফ্লিনটফ জানিয়েছেন কিভাবে সমস্যা থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়। প্রামাণ্যচিত্রে দেখা গেছে, যে সব মানুষ এই রোগে ভুগেছেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন ফ্লিনটফ। এই রোগীদের কোনো পেশাদার সহায়তার প্রয়োজন কি না সেটাও জিজ্ঞাসা করেন তিনি।

ফ্লিনটফ এই প্রামাণ্যচিত্রে বলেছেন, লোকে যতটা ভাবে এর চেয়েও তুলনায় অনেক বেশি লোকে ভুগছে ইটিং ডিসঅর্ডারে। হতাশার সুরে ফ্লিনটফ বলছিলেন, ‘আমি ভাবতেও পারছি না যে এটা নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে। আমার বয়স এখন ৪২ বছর। আমি এখনও শতভাগ নিশ্চিত নই যে এই রোগে আমি কতটা ভালো আছি।’

বুলিমিয়ার ওপর বানানো এই প্রামাণ্যচিত্র করতে গিয়ে ফ্লিনটফ এই রোগ সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছেন। আর যাঁরা এই রোগে ভুগছেন তাঁদের সম্পর্কেও ভালোভাবে জানাতে পেরেছেন। আশার কথা আগের চেয়ে আরও ভালো আছেন ফ্লিনটফ। প্রামাণ্যচিত্রে সেই কথাগুলোই বলেছেন, ‘ব্যাপারটা এমন না যে আমি এই রোগের চিকিৎসা করিয়েছি। আমি এখন ফিট। সবকিছুই করছি। ভালোই আছি। কিন্তু একটা বিষয় বুঝতে পারছি যে আমি আরও ভালো থাকতে পারি।’